আরেক যাত্রী সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আমার ১১.০৭ ট্রেন ছিল। এখন ১১.৩৩ বাজে, ট্রেন টাইম এখনও ডিসপ্লেতে দেখায়নি। আমি রেগুলার যাতায়াত করি না, তবে এটুকু বলতে পারি, যতই ৯ বগির ট্রেন ১২ বগি করুক, ট্রেন সময় না চললে কিছু হবে না।’ সকাল ৯টায় ডাউন হাবড়া লোকাল ধরেন সরকারি চাকুরিজীবী সাগর হালদার, অনিমেষ সরকাররা। তাঁরা বলেন, ‘ট্রেন হাবড়া থেকে সময়েই ছেড়ে ছিল। তবে দুর্গানগর ঢোকার আগে ট্রেন বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল। বিধাননগরেও নির্ধারিত সময়ের পরে ২০ মিনিট পরে ট্রেন ঢোকে । কত ভোগান্তি হল এ কয়েকদিনে। তারপরেও সেই ট্রেন লেট, কিছু ট্রেন এখনও ৯ বগি।’
পলতা থেকে শিয়ালদা স্টেশনে কর্মসূত্রে এসেছেন সোমনাথ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘আজকে কিছুটা ট্রেন স্বাভাবিক চলছে। আগে ১২ বগি ট্রেন চালু করুক, তখন কিছুটা স্বস্তি মিলবে যাত্রীদের। ভিড়ের চাপ কিছুটা কমবে।’ বেশিরভাগ যাত্রীদের কথায়, সোমবার সকাল থেকে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও বেশ কিছু ট্রেন দেরিতে চলছে। ফলত, সপ্তাহের শুরুর দিনেও ভোগান্তি হচ্ছে অনেক যাত্রীদেরই।
এই বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘রবিবার থেকেই ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়েছিল। সোমবারও ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে।’ উল্লেখ্য, রবিবার নির্ধারিত সময়ের ২ ঘন্টা আগেই শিয়ালদা মেন সেকশনে 1 থেকে 5 নম্বর প্লাটফর্মের পরিকাঠামোগত পরিবর্তনের কাজ শেষ হয়। আগামী মাস থেকে এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে ১২ বগির ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। রবিবার দুপুর বারোটা থেকে শিয়ালদহ মেন সেকশনের 1 থেকে 5 নম্বর প্রত্যেকটি প্লাটফর্মে EMU ট্রেন শুরু হয়।
গত দুদিনে ব্যাপক হয়রানির মধ্যে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। একাধিক ট্রেন বাতিল এবং বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করে দেওয়ার জন্য নাজেহাল হতে হয় যাত্রীদের। একাধিক ট্রেনের ঠিকমতো ঘোষণা না হওয়ার কারণে হয়রানির মুখে পড়েন যাত্রীরা। পাল্লা দিয়ে ভিড় বাড়ে অটো, বাস রুটেও। দুদিনের বিক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে রবিবার। রবিবার সকালে শিয়ালদা স্টেশনের অনুসন্ধান কেন্দ্রে ভাঙচুর চালায় কিছু ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। তবে, এরপর ট্রেন স্বাভাবিক নিয়মে সময়মতো চলুক, এমনটাই চাইছেন যাত্রীরা।