তাদের হোর্ডিংও পড়তে শুরু করবে কয়েক দিনের মধ্যে। ঘটনাচক্রে শহরের বিগ বাজেটের পুজোর বেশ কয়েকটির মাথায় যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা সক্রিয় ভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ভোট মেটার পরে তাঁদের অনেকেই পুরোদমে নেমে পড়েছেন পুজোর ময়দানে একে-অন্যকে টেক্কা দিতে।
গত বছর রাম মন্দিরের আদলে পুজো মণ্ডপ করে শহরের অনেক পুজোকেই টেক্কা দিয়েছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার। ওই পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকতা সজল ঘোষ বিজেপির কাউন্সিলারও। সদ্য বরাহনগর বিধানসভার উপ-নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছিলেন। বরাহনগরে পদ্মফুল ফোটাতে না পারলেও উত্তর এবং দক্ষিণের পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে টেক্কা দিতে দিনদুয়েক পর থেকেই তিনি মাঠে নেমে পড়বেন।
তাঁর কথায়, ‘পরীক্ষায় লেটার মার্কস নিয়ে পাশ করতে হলে আগে থেকে তো পড়াশোনা করতে হবে।’ ভোটের লড়াই শেষ করেই পুজোর প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছেন টালা প্রত্যয়ের সভাপতি তথা কলকাতা পুরসভার ১ নম্বর বরো চেয়ারম্যান তরুণ সাহা। ফল প্রকাশের পরদিন থেকেই পুজো কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনায় বসছেন।
তাঁর কথায়, ‘ভালো পুজো করতে গেলে আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করা জরুরি। দর্শকদের ভালো পুজো উপহার দিতেই আমরা প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছি।’ দমদমে যে কয়েকটি বড় পুজো হয়, তার মধ্যে অন্যতম দমদম তরুণ দল। প্যান্ডেল থেকে প্রতিমা, লাইটিংয়ের বরাত দেওয়া হয়ে গিয়েছে তাদের। আগামী সপ্তাহ থেকেই হোর্ডিং পড়তে শুরু করবে। সেইসঙ্গে শুরু হয়ে যাবে মণ্ডপ তৈরির কাজও।
ভোটের পরদিন খুঁটিপুজোর আয়োজন করেছিলেন সল্টলেকের এ-কে ব্লক পুজো কমিটির সদস্যরা। এবারে ওই পুজোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভবতোষ সুতারকে। তবে থিম কী সে বিষয়ে অবশ্য এখনই কিছু জানাতে নারাজ একে ব্লক অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম কর্মকর্তা রতন চৌধুরী। চেতলা অগ্রণীর পুজোটি তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা ফিরহাদ হাকিমের পুজো বলেই পরিচিত। ফিরহাদের বক্তব্য, ‘ভোটের জন্য সে ভাবে এত দিন পুজোয় সময় দিতে পারিনি। কয়েকদিনের মধ্যেই কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বসে যাবতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’