Bjp West Bengal,খুল্লমখুল্লা লড়াই পদ্মের দুই বঙ্গ ‘সৈনিক’ শিবিরে, নীরব দিলীপ-শুভেন্দু – west bengal bjp leader blame each other for 2024 lok sabha election failure


এই সময়: ভোট-যুদ্ধের ব্যর্থতার দায় নিয়ে শুরু ফেসবুক-যুদ্ধ! সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে হবেন, এ নিয়ে গেরুয়া শিবিরে ঘুঁটি সাজানো শুরু হয়েছে। এরমধ্যেই আবার লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ-বিজেপির হতাশাজনক ফলের দায় নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের অনুগামীদের ফেসবুক-ডুয়েল শুরু হলো।বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, এর সঙ্গে শুভেন্দু অথবা দিলীপ কেউ ব্যক্তিগত ভাবে জড়িত নন। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে দুই শিবির পরস্পরকে নিশানা করে যেভাবে আক্রমণ শুরু করেছে, তাতে শুভেন্দু অথবা দিলীপ কেউই সোমবার রাত পর্যন্ত এই ফেসবুক পোস্টকে ‘ফেক’ বলে চিহ্নিত করে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। গত ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষিত হওয়ার পরপরই দিলীপ ঘোষ প্রথম বোমা ফাটান।

‘কাঠিবাজি’ করে মেদিনীপুর আসন থেকে তাঁকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। দিলীপ কাউকে সরাসরি ইঙ্গিত না-করলেও, তাঁর লাগাতার আক্রমণের মুখে ‘শুভেন্দুদার সৈনিক’ শিরোনামে ফেসবুক পেজ থেকে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির মুণ্ডপাত করে দীর্ঘ পোস্ট করা হয়েছে। এই পোস্টের বক্তব্য, ‘৬-৮ মাস পার্টিতে এসেই তাঁকে সভাপতি বানানো হয়েছিল। তিনি কবে পুরোনো বিজেপি হলেন? তিনি সভাপতি হওয়ার পর রাহুল সিনহার টিমের কতজনকে রেখেছিলেন?’

আবার ‘দিলীপদার সৈনিক’ নামে অন্য একটি ফেসবুকে পেজে পাল্টা বলা হয়েছে, ‘দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারকে কোনওদিন ক্যামেরার সামনে কাগজ মুড়ে টাকা নিতে দেখেছেন? এঁদের নামে চিটফান্ড কেলেঙ্কারির মামলা হয়েছে? শুনেছেন, তৃণমূল এদের কখনও চোর-গদ্দার বলেছে? দিলীপ-সুকান্ত ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে বিজেপি করেন কি?’

রাজ্য বিজেপিতে অতীতেও নির্বাচনী বিপর্যয় নিয়ে বাগযুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু এই পর্যায়ের কাদা ছোড়াছুড়ি কেউ মনে করতে পারছেন না। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই সব পোস্ট শুভেন্দু অধিকারী করছেন না, দিলীপ ঘোষও করছেন না। এগুলো পরিকল্পিত ভাবে করা হচ্ছে। দিলীপ ঘোষের এত সময় নেই, শুভেন্দু অধিকারীরও এত সময় নেই। শুধু এই দু’জন নন, আরও অনেকের নামেই ফেসবুকে এই সব চলছে। কেউ আনন্দ পেতে পারে, কিন্তু আমরা এনিয়ে চর্চা করি না।’

Sukant Majumder: দুই সভাপতিই মন্ত্রিত্বে, পদ্মবনে নয়া ‘মালি’ কে?

দিলীপ ছ’বছর বঙ্গ-বিজেপির সভাপতি ছিলেন। সেই সময়ে বিজেপি বড় সাফল্য পেয়েছিল বলে দিলীপ শিবিরের দাবি। যদিও দিলীপকে ‘মহাবীর’ বলে খোঁচা দিয়ে ‘শুভেন্দুদার সৈনিক’ শিবিরের প্রশ্ন, ‘২০১৯ সালে বিজেপি ১৮টি আসন পাওয়ার পর তিনটি উপনির্বাচন হয়। দিলীপের ছেড়ে যাওয়া খড়্গপুরে বিজেপি হেরেছিল। ২০২১-এ হিরণ খড়্গপুর আসনে জয়ী হলেও মেদিনীপুর লোকসভার সব বিধানসভায় বিজেপি হেরেছিল। তার দায় কে নেবে? ২০১৯ সালের কৃতিত্ব নিলে ২০২১-এ সরকার গড়তে না পারায় দায়ও দিলুদার।’

পাল্টা ‘দিলীপদার সৈনিক’দের বক্তব্য, ‘রাজ্যে ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৬টি আসনে যাঁর সুপারিশে প্রার্থী হয়েছে, তাঁর লেজ গুটিয়ে নেওয়া মানায় কি?’ বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল নগ্ন ভাবে প্রকাশ্যে চলে আসায় খোঁচা দিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘একদিকে দিলীপ-বিজেপি, অন্যদিকে সুকান্ত-বিজেপি, এদিকে আদি বিজেপি, অন্যদিকে তৎকাল বিজেপি। এটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ একটা দল।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *