Storm In West Bengal : কয়েক মিনিটের ঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড গ্রাম, বজ্রপাতে বাঁকুড়ায় মৃত ২ – two expired with several house damaged for thunderstorm at bankura


ঝড়ের তাণ্ডব বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়ায়। কয়েক মিনিটের ঝড়ে উড়ে গেল একাধিক বাড়ির চাল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। অন্যদিকে, ঝড়ের মাঝেই বজ্রপাতের কারণে জেলায় মৃত্যু হয় দু’জনের।মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ বড়জোড়ার সাহারজোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দেজুড়ি গ্রামের কয়েক মিনিটের জন্য প্রবল ঝড়ের তাণ্ডব দেখা যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন বিকেলে হঠাৎ করেই আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই শুরু হয় ব্যাপক ঝড় ও বৃষ্টি। ওঝড়ের তাণ্ডবে একের পর এক বাড়ি ও দোকান ঘরের চালা উড়িয়ে নিয়ে যায়। ওই ঝড়ের তাণ্ডবে রাস্তার উপর বেশ কিছু গাছ ভেঙ্গে পড়ার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ তারও ছিঁড়ে পড়ে বলে খবর। এই ঘটনার পর এক প্রকার আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।

ঘটনার খবর পেয়েই গ্রামে যান স্থানীয় বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, কাজের সন্ধানে মুর্শিদাবাদ থেকে বাঁকুড়ার জয়পুরে এসে বজ্রপাতে মৃত্যু হল এক জনের, আহত আরও একজন। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানার নশিপুর থেকে জয়পুরের বিক্রমপুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য পাইপলাইন বসানোর কাজ করতে আরও অনেকের সঙ্গে এসেছিলেন বছর ২২ এর জনি শেখ।

West Bengal Weather Update : অব্যাহত থাকবে ভ্যাপসা গরম, নাকি আসছে বৃষ্টি?

কাজের মাঝেই শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টি থামার পরে কাজের যন্ত্রপাতি গুটিয়ে নিজেদের আশ্রয়স্থলে যাওয়ার পথেই বজ্রপাতে তড়িতাহত হন জনি শেখ ও তাঁর এক সহকর্মী। পরে তাঁদের সঙ্গীরা উদ্ধার করে জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। জনি শেখকে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত ব্যক্তির চিকিৎসা চলছে।

বজ্রপাতের সময় বাইরে থাকলে কী কী করণীয়? একগুচ্ছ পরামর্শ প্রশাসনের
অন্যদিকে, মঙ্গলবার বাঁকুড়া সদর থানার আকুরাবাদ গ্রামের বজ্রপাতে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। মৃতার নাম পূর্ণিমা বাউরী (৪১)। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন বিকেলে পূর্ণিমা বাউরী নামে ওই মহিলা ঝড় বৃষ্টির সময় গোরু নিয়ে বাড়ির উঠোন থেকে গোয়ালে নিয়ে আসছিলেন, ঠিক সেই সময় বজ্রপাত হয়। পরিবারের লোকেরা দ্রুততার সঙ্গে তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *