Trinamool Congress,প্রাপ্য আদায়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ত্রিমুখী লড়াইয়ের ছক রাজ্যের – trinamool planned to make fight bjp government over 100 days project work dues


বকেয়া নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের লড়াই দিল্লির রাজপথ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। রাজ্যের অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজ সহ একাধিক প্রকল্পে তাদের ন্যায্য প্রাপ্য আটকে রেখেছে কেন্দ্র। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটেও সেই প্রচার কাজে দিয়েছে বলেই মনে করছে রাজ্যের শাসক দল। প্রাপ্য আদায়ে সেই লড়াইকে এবার ত্রিমুখী করার পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল।সংসদের ভিতরে ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের সঙ্গে এবিষয়ে এক হয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য প্রশাসনও এই ইস্যুতে চাপ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। নবান্ন সেই সংক্রান্ত নথি তৈরির কাজ নতুন ভাবে শুরু করেছে। এই অবস্থায় আজ, মঙ্গলবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও এই বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশ দিতে পারেন তিনি।

এই মুহূর্তে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের সব থেকে বেশি পাওনা ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে। প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা। রাজ্যের অভিযোগ, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই প্রকল্পে উপভোক্তাদের মজুরির টাকা দেওয়া বন্ধ রয়েছে। আবাস যোজনার ক্ষেত্রেও ২০২২ সাল থেকেই প্রাপ্য মেটায়নি কেন্দ্র। অভিযোগ, ১১ লক্ষেরও বেশি বাড়ি তৈরির টাকা তারা আটকে রাখা হয়েছে।

কেন্দ্রের তরফ থেকে পাল্টা বলা হয়েছিল, এই দু’টি প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি হওয়ায় বরাদ্দ টাকা আটকে রাখা হয়েছে। উপভোক্তাদের ভুয়ো তালিকা তৈরি থেকে শুরু করে বাড়ি তৈরি না করেই টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগও ছিল। কেন্দ্র একাধিকবার তদন্তকারি দল পাঠিয়ে সবকিছু যাচাইও করে। কিন্তু তার পরেও এই প্রকল্প দু’টিতে রাজ্যের হাতে টাকা আসেনি।

ভোট মিটতেই প্রশাসনিক বৈঠকের ডাক মমতার, উন্নয়নের কাজে গতি আনতে পদক্ষেপ!

রাজ্যের প্রাপ্য আদায়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা নিজে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ভোটের আগে গত জানুয়ারিতে তিনি বকেয়ার বিস্তারিত হিসেব দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছিলেন। দাবি আদায়ে উপভোক্তাদের বাসে করে দিল্লি নিয়ে গিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাজ্যের প্রাপ্য আদায়ে মেলেনি কানাকড়িও।

ভোট মিটতেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিতে রাজ্যের প্রাপ্য পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি শুরু করেছে বিভিন্ন দপ্তর। তারা বিস্তারিত হিসেব তৈরি করলে তা অর্থ দপ্তরের কাছে পাঠানো হবে। দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রাপ্য অর্থ চেয়ে নতুন করে চিঠি পাঠিয়ে কেন্দ্রের মনোভাব বোঝার চেষ্টা হবে। পাশাপাশি সংসদে এই ইস্যুতে দলের সাংসদদের প্রথম থেকেই সরব হওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *