আইবি-র জয়েন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদে পাঠানো হয়েছিল দিবাকর দাসকে। তাঁকে ফেরানো হল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির এসডিপিও পদে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কন্টাইয়ের এসডিপিও পদে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আজহারউদ্দিন খানকে। তিনি দার্জিলিঙের ডিএসপি ছিলেন তিনি। সেখানেই ফের পাঠানো হল তাঁকে। বসিরহাট পুলিশ জেলার মিনাখাঁয় এসডিপিও পদে ছিলেন আমিনুল ইসলাম খান। তাঁকে আইবি-র জয়েন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদে পাঠানো হয়েছিল। ফের আগের স্থানে পাঠানো হল তাঁকেও। বসিরহাট পুলিশ জেলার মিনাখাঁয় এসডিপিও পদে পাঠানো হয়েছিল অমিতাভ কোনারকে। তাঁকে পাঠানো হল হাওড়া গ্রামীণের ডেপুটি এসপি করে।
এছাড়াও রাজ্য পুলিশের আরও কিছু রদবদল করা হল। IPS কোটেশ্বর রায়কে ট্রাফিক, এসপি পদ থেকে পাঠানো হল সুন্দরবনের এসপি করে। আইপিএস সৌম্য রায়কে সাউথ-ওয়েস্ট কলকাতা ডিসি করে পাঠানো হল। IPS অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এসএস, আইবি থেকে পুরুলিয়ার এসপি করে পাঠানো হল। পুরুলিয়া এসপি পদে ছিলেন আশিস মৌর্য, তাঁকে পাঠানো হচ্ছে আসানসোল-দুর্গাপুর ওয়েস্ট ডিভিশেনের ডিসি করে। ধৃতিমান সরকারকে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার পদে পাঠানো হচ্ছে। এই জেলার এসপি পদে ছিলেন এস কুলদীপ সুরেশ। তাঁকে পাঠানো হচ্ছে ব্যারাকপুর পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল করে। IPS রাহুল দে-কে কলকাতা সাউথ ওয়েস্ট ডিভিশনের ডিসি পদ থেকে পাঠানো হচ্ছে এসটিএফের ডিসি করে। সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি ছিলেন IPS সন্দীপ কররা, তাঁকে পাঠানো হল দক্ষিণ দিনাপুর জেলার পুলিশ সুপার করে। পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি ছিলেন সৌম্য ভট্টাচার্য্য। তাঁকে পাঠানো হচ্ছে কলকাতা আর্মড পুলিশের ডিসি করে।
লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই একাধিক পুলিশ প্রশাসনিক পদে রদবদল করা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশন ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ হয়ে এই ধরনের রদবদল করছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, মেদিনীপুর থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ সহ এ বিজেপি নেতা ধরা পড়ার পরেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আইপিএস পদমর্যাদার এসপি ধৃতিমান সরকারকে বদলি করে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।