জামাই ষষ্ঠীর আগের রাতে মৎস্যজীবীদের জালে উঠল দৈত্যাকৃতির বাঘা আড় মাছ। আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লকের সংকোশ নদীতে এক মৎস্যজীবীর জালে ধরা পড়ে মাছটি। জালে ওঠা আড় বাঘা মাছটির ওজন ৮২ কেজি। রাতেই ওই বিশাল মাছটির ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। খবর চাউর হতেই রীতিমতো হইচই পড়ে যায় গোটা কুমারগ্রাম জুড়ে।জামাই ষষ্ঠীর আবহে মাছ ধরার জন্য কয়েকদিন ধরেই রীতিমতো হুড়োহুড়ি ছিল মৎস্যজীবীদের মধ্যে। এই পরিস্থিতে মাছ ধরার জন্য নদীতে জাল ফেলেন ওই মৎস্যজীবী। আর তাতেই ওই ঢাউস বাঘা আড় মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হতেই মাছ কিনতে ঢল নামে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও নিম্ন অসমের ব্যবসায়ীদের। লাফিয়ে বাড়তে থাকে দাম। শেষে অসমের ধুবড়ির এক মাছ ব্যবসায়ী সর্বোচ্চ ৫৭,৫০০ টাকা দাম দিয়ে কিনে নিয়ে যান ওই ‘মনস্টার’ মাছ। তবে তিনিও মুনাফা কামিয়েছেন বিস্তর। ১০০০ টাকা কিলো দরে বিক্রি করেছেন ওই বাঘা আড়।
সাধারণত উত্তরবঙ্গের সিকিম ও ভুটান থেকে নেমে আসা নদীগুলিতে পাওয়া যায় বাঘা আড় মাছ। বৃষ্টিপাত শুরু হলেই প্রজননের কারনে সমতলে নেমে আসে ওই প্রজাতির মাছগুলি। মৎস্যজীবীরা জানাচ্ছেন, সচরাচর এত বড় মাছ জালে ওঠে না। নদীতে জল কম থাকলে কোনও কোনও সময় জালে ওঠে বাঘা আড়। সেক্ষেত্রে দক্ষ মৎস্যজীবী ছাড়া যে কেউ এই ধরনের মাছকে কাবু করতে পারবেন না। আর একবার ধরতে পারলেই বাজিমাত। কারণ এই ধরনের মাছ বিক্রি করে ব্যাপক লাভ হয় মৎস্যজীবীদের।
সাধারণত উত্তরবঙ্গের সিকিম ও ভুটান থেকে নেমে আসা নদীগুলিতে পাওয়া যায় বাঘা আড় মাছ। বৃষ্টিপাত শুরু হলেই প্রজননের কারনে সমতলে নেমে আসে ওই প্রজাতির মাছগুলি। মৎস্যজীবীরা জানাচ্ছেন, সচরাচর এত বড় মাছ জালে ওঠে না। নদীতে জল কম থাকলে কোনও কোনও সময় জালে ওঠে বাঘা আড়। সেক্ষেত্রে দক্ষ মৎস্যজীবী ছাড়া যে কেউ এই ধরনের মাছকে কাবু করতে পারবেন না। আর একবার ধরতে পারলেই বাজিমাত। কারণ এই ধরনের মাছ বিক্রি করে ব্যাপক লাভ হয় মৎস্যজীবীদের।
আগেও উঠেছে বাঘা আড়
প্রসঙ্গত, এর আগেও সংকোশ নদী থেকে ধরা পড়েছে বাঘা আড়। সেই সময়েও জামাই ষষ্ঠীর আবহেই পাওয়া গিয়েছিল বাঘা আড় মাছ। পরপর দু’দিন দু’টি বাঘা আড় মাছ পাওয়া যায় সংকোশ নদী থেকে। একটি মাছের ওজন ছিল ৮৫ কেজি। সেটি বিক্রি হয়েছিল ৪৮ হাজার টাকায়। অপর মাছটির ওজন ছিল ৬২ কেজি। সেটি বিক্রি হয়েছিল ৩২ হাজার টাকায়।