এদিকে, হু- এর সতর্ক বার্তা পাওয়ার পর জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরও মাঠে নেমে পড়েছে। যদিও দুই দফতরেরই দাবি জেলায় কোনও প্রাণীর দেহেই বার্ড ফ্লুর কোনও হদিশ মেলেনি। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে এখনও কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সদর দফতর থেকে একটি দল যাচ্ছে মানিকচকে।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ী জানিয়েছেন, চার বছর বয়সী শিশুটির রক্তের নমুনা কলকাতায় পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছিল। তাতে রিপোর্ট এসেছে এইচ ৯ এন ২। এটা ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাস। তবুও হু-এর সতর্কতার জেরে মালদায় থাকা ওই শিশুটির পরিবারের ১৪ জন সদস্যের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু কারও রক্তেই বার্ড ফ্লুর ভাইরাস এইচ৫এন ২ পাওয়া যায়নি। ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে রুটিন কাজ চলছে ।
জ্বর এবং পেটে ব্যথা নিয়ে গত ২৬ শে জানুয়ারি মালদার কালিয়াচকের চার বছরের এক শিশু পুত্র ভর্তি হয়েছিল মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রায় একমাস চিকিৎসা চলার পর মার্চ মাসে তাকে নীলরতন সরকার হাসপাতালে রেফার করা হয়। নীলরতন সরকার হাসপাতলে ওই শিশুর সমস্ত ধরনের পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ না আসায় শেষে ওই শিশুর স্যামপেল পাঠানো হয় পুণেতে। ওই শিশুর রিপোর্ট রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের হাতে এসে পৌঁছয় আজ। সেখানে চার বছর বয়সী ওই শিশুর শরীরে H9N2 ভাইরাস ধরা পড়ে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের একটি টিম পরিদর্শনে যাবেন বলে জানা গিয়েছে।