কলকাতার থেকে খুব বেশি দূরে নয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদা- হলদিয়া ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে এগিয়ে তমলুকের রামতারকে রয়েছে ‘চা গ্রাম’। জাতীয় সড়কের ধারেই গাছগাছালি দিয়ে ঘেরা এই ধাবাটির যাত্রা শুরু ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর। আড্ডা আর চা ক্রেভিংকে একসুতোয় বেঁধে ‘ফাটাফাটি কম্বো’ উপস্থাপন করাই লক্ষ্য বলে জানাচ্ছেন ‘চা গ্রাম’-এর কর্ণধার।
কেন হঠাৎ করে এই জায়গায় নাম রাখা হল চা গ্রাম? আসলে সেখানে বিভিন্ন স্বাদের চা পাওয়া যায়। সঙ্গে মেলে চিকেন পকোড়া, পনির টিক্কা, সিককাবাব, রোল,চাউমিন, তন্দুরি রুটি, চিকেন বিরিয়ানি সহ অন্যান্য সুস্বাদু খাবার। সেখানে বিভিন্ন ধরনের চা-কফির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য খাবারগুলির দাম আলাদা আলাদা।
কলকাতা থেকে কী ভাবে যাবেন?
শহর কলকাতা থেকে কী ভাবে এই ‘চা গ্রামে’ পৌঁছবেন? যদি ‘লং ড্রাইভ’-এর ইচ্ছে থাকে সেক্ষেত্রে মেচেদা থেকে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে তমলুকের রামতারকে পৌঁছতে হবে। রাস্তার ধারেই রয়েছে চা গ্রাম। পাশাপাশি ট্রেনের ক্ষেত্রে মেচেদা স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়।
চা গ্রামের কর্ণধার সৌরভ জানা জানান, ছোট থেকে গাছগাছালি ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশ খুব ভালো লাগতো। পড়াশোনা শেষ করে ব্যবসা করব বলে ঠিক করি। দিদি মৌসুমী সেন আমাকে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এরপর আমি ‘চা গ্রাম’ চালু করি। গ্রাম্য পরিবেশের মধ্যে চা পান করার পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পরিষেবা দেওয়া হয়।
পাশাপাশি চা গ্রামের ফলে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে বলেও জানান তিনি। সেখানে কাজ করেন ২২ জন কর্মচারি। গ্রামের বহু মানুষ সেখানে এসে মনে জমা গল্পের ডালি উজাড় করেন বলে জানান তিনি। সৌরভের দিদি মৌসুমী সেন জানান, ভাইয়ের ব্যবসায় সাহায্য করতে চেয়েছিলেন তিনি। দিঘা যাওয়ার পথে পড়ে এই চা গ্রাম। পর্যটকদের কাছে তা বাড়তি পাওনা।