এখন দিঘায় সমুদ্রে স্নানের পাশাপাশি রয়েছে পার্ক, মিউজিয়াম, কফি হাউসের অমোঘ আকর্ষণ। এবার সমুদ্রবক্ষে প্রমোদতরীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে প্রশাসনের উদ্যোগে। গোয়ার মতো দিঘাতেও যাতে পর্যটকরা এই সুবিধা পান সেই জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ।
২০২৩ সালে ডিসেম্বরে এই পরিষেবা চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল ‘এম ভি নিবেদিতা’ নামক প্রমোদতরীটির সাজসজ্জা। কিন্তু, সেই সময় পল্টুন জেটি ও গ্যাংওয়ে এই পরিষেবা চালুর জন্য প্রস্তুত ছিল না। ফলে সেই সময় স্থগিত হয়ে যায় প্রমোদতরীর সমুদ্র যাত্রা। অবশেষে সেই বাধা কেটেছে। বর্ষাকালেই দিঘায় এবার গোয়ার স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকেরা।
সমুদ্রবক্ষে প্রমোদতরী চালুর জন্য প্রশাসন যাবতীয় পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ শুরু করেছিল । ইতিমধ্যে সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক তথা কাঁথির মহকুমাশাসক সৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘প্রমোদতরীর ফিটনেস সার্টিফিকেট হাতে এলেই পরিষেবা চালু হবে। আগামী জুলাইয়ে পর্যটকদের নিয়ে প্রমোদতরী সাগরসফর শুরু করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই প্রমোদতরীতে সওয়ার হওয়া যাবে। রয়েছে গান-বাজনার ব্যবস্থা। প্রতিটি ডেকেই রয়েছে সমুদ্রের নীল জলরাশি উপভোগের চমৎকার ব্যবস্থা। থাকছে রেস্তোরাঁও। বর্তমানে দিঘার নায়েকালী মন্দির প্রাঙ্গনে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন পল্টুন জেটি। সেই সঙ্গে জেটিতে যাওয়ার জন্য কংক্রিটের রাস্তা করা হয়েছে। আপাতত চম্পা নদীর মোহনায় নোঙর করা রয়েছে প্রমোদতরী এম ভি নিবেদিতা।