এদিন পুরসভার এসেও মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার ছাড়াও অন্যান্য মেয়র পারিষদ, কাউন্সিলর ও পুরনিগমের আধিকারিকেরা উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। সেখানে বেশ কিছু বিষয়ে খোঁজ নেন মন্ত্রী।
এদিনের বৈঠকে শহরের বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ অর্থের অভাবে আটকে রয়েছে বলেও জানান পুরসভার আধিকারিকেরা। সেগুলি নিয়ে খোঁজ নেন তিনি। রাজ্যের তরফে শিলিগুড়ি পুরসভাকে সমস্ত সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, কাউন্সিলরদের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার কথা বলেন ফিরহাদ। এ দিন ফুলবাড়িতে ইনটেক ওয়েল ও গজলডোবায় দ্বিতীয় জল প্রকল্পের কাজ দেখতে যাওয়ার কথা ছিল মন্ত্রীর। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি সেখানে যাননি। প্রসঙ্গত, সপ্তাহ খানেক আগেই শিলিগুড়ি প্রবল পানীয় জল সমস্যা দেখা দেয়। তিস্তার বাঁধ মেরামতির কাজের জন্য বিকল্প জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়।
উল্লেখ্য, দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি লোকসভায় তৃণমূলের হারের পেছনে কী কারণ রয়েছে ও দলের সংগঠনকে কীভাবে আরও মজবুত করা যায় তা নিয়ে মঙ্গলবার সুকনায় একটি রিসর্টে আলোচনায় বসেছিলেন তিনি। সেখানে দুই জেলার দলের নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবও ছিলেন সেই আলোচনায়। দলের কোথায় কী খামতি ছিল ও কী কারণে হার সেসব নিয়ে আলোচনা হয়। বুথ ভিত্তিক সংগঠনকে মজবুত করার কথা বলেন ফিরহাদ। কোথায়, কোন বিধানসভায় তৃণমূল পিছিয়েছে, কতো ভোটে পিছিয়ে রয়েছে সেসব খোঁজ দলের অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব। আগামী দিনে যাতে মানুষের সঙ্গে দূরত্ব দূর করে একযোগে সকলে জন পরিষেবায় নিয়োজিত থাকেন, সেই ব্যাপারে পরামর্শ দেন ফিরহাদ।