Hooghly News,হঠাৎ শব্দ, তারপরেই খোঁজ নেই যুবকের, নিট পরীক্ষার্থী নিখোঁজে চাঞ্চল্য হুগলিতে – boy allegedly missing from hooghly after neet result out


নিট পরীক্ষায় খারাপ ফল। আর তারপরেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পোলবায়। নিখোঁজ যুবকের নাম সৌদীপ বাগ। ছেলের খোঁজ না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সৌদীপের মা। দুশ্চিন্তায় গোটা পরিবার। পুলিশের কাছেও জানান হয়েছে বিষয়টি।জানা গিয়েছে, পোলবার উচাই গ্রামের বাসিন্দা সুজয় বাগ ও দীপালি বাগের একমাত্র ছেলে সৌদীপ এবার নিট পরীক্ষা দিয়েছিলেন। হুগলি কলিজিয়েট স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন সৌদীপ। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী। ইচ্ছা ছিল চিকিৎসক হওয়ার। সেই মতো পড়াশোনাও শুরু করেন। চুঁচুড়ায় গৃহশিক্ষকদের কাছে অঙ্ক, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, পড়ার পাশাপাশি কলকাতার বিভিন্ন ইন্সটিটিউট থেকে অনলাইন কোচিংও নিতে থাকেন। সঙ্গে চলতে থাকে মক টেস্ট। বিভিন্ন মক টেস্টে ভালো নম্বরও আসত তাঁর। এমনকী নিট দিয়েও মাকে জানিয়েছিলেন ভালো পরীক্ষা হয়েছে। ভালো ফলের বিষয়েও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু গত ৪ জুন সমস্ত কিছু ওলট পালট হয়ে যায়। ওই দিন নিট পরীক্ষার ফলাফল বের হয়। পরীক্ষার ফল ভালো হয়নি তাঁর। আর তারপর থেকেই রহস্যজনকভাবে কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না সৌদীপের।

এই বিষয়ে সৌদীপের মা দীপালি বাগ বলেন, ‘ছেলে ওই সন্ধায় লুচি তরকারি খাবে বলল। দোতলায় নিজের ঘরেই ছিল। আটটা নাগাদ একটা শব্দ হল। আমি আর ওর বাবা গিয়ে দেখি ঘরে নেই। তারপর খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। গ্রামের লোকজন, প্রতিবেশিরা সবাই মিলে খুঁজতে শুরু করেন। কিন্তু কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত দু’বছর ধরে খুব খেটেছে। বই মুখে দিয়ে পড়ে থাকত। আমরা কোনও চাপ দিতাম না। খুবই পরিশ্রম করেছিল। ওর বিশ্বাস ছিল নিট ক্র্যাক করবে। কিন্তু কী যে হল!’

সৌদীপের পিসতুতো দাদা ইন্দ্রজিৎ ধারা বলেন, ‘ভাই ছোটো থেকেই মেধাবী। ও যে ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিল, এত খারাপ ফল হতে পারে ভাবতে পারিনি। ওই দিন নিটের ফল বেরিয়েছে সেটা বাড়ির কেউ জানত না। পরে ওর এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি। এবার শুনছি নিটের ফলাফলে অনেক দুর্নীতি হয়েছে। জানি না ঠিক কী হয়েছে। তবে ডাক্তারি পড়ার আশা ভঙ্গ হওয়াতেই সৌদীপ বাড়ি ছেড়ে কোথাও চলে গিয়েছে।’

ঘটনায় ইতিমধ্যেই পোলবা থানায় নিখোঁজ ডায়রি করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। কিন্ত এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তায় দু’চোখের পাতা এক করতে পারছেন না বাগ পরিবারের কেউই। চোখের জলে দিন কাটছে তাঁদের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *