‘জামাইষষ্ঠী’ মানেই শ্বশুর বাড়িতে বিশেষভাবে জামাই আদর, সঙ্গে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া আর সকলে মিলে আনন্দ-হই হুল্লোড়। জামাইষষ্ঠীর সকাল থেকেই দোকানে-বাজারে ভিড়। জামাইদের জন্য স্পেশাল মেনুতে যাতে কোনও খামতি না থাকে তাই লাস্ট মিনিটের ফিনিশিং টাচ চলছে বলাই যায়। অন্যদিকে, জামাইও শ্বশুর-শাশুড়ির জন্য শেষ মুহূর্তের কেনা কাটা সারছেন। সব মিলিয়ে দোকান বাজারে ভিড় সকাল থেকেই। কিন্তু এই কেনা কাটা করতে গিয়েই কি পকেটে ছ্যাকা লাগছে মধ্যবিত্তের। জামাই ষষ্ঠীর সকালে জামাই আদরের বন্দোবস্ত করতে গিয়ে কার্যত ঘুম উড়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারের। এদিন মাছ, মাংস থেকে ফল-মূল সবকিছুর দামই বেশ চড়া, ফলে শ্বশুর কূলের পকেট যে বেশ ভালোই খালি হচ্ছে। বাঁকুড়া শহরের চক বাজারে এদিন কাতলা মাছ -৩০০, রুই ২০০ থেকে ২৫০, পাবদা-৬০০, পার্শে ৪০০, ইলিশ দু’হাজার টাকার উপরে, বাগদা চিংড়ি ৪০০, গলদা চিংড়ি ৭০০, পমফ্রেট ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় মাছের দাম এদিন একটু বেশীই আছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।