বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কেশপুর, লালগড় রুটের বাসগুলি কেরানিচটি, কুইকোটা, গোলাপিচক দিয়ে বাসস্ট্যান্ডে ঢুকবে। অন্যদিকে, বাদ বাকি সমস্ত বাস আমতলা, জগন্নাথ মন্দির, জজকোর্ট, কেরানিতলা হয়ে বাসস্ট্যান্ড আসবে। বাসের রুট ভাগ করে দেওয়ার জন্য যানজটের দুর্ভোগ অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাস মালিক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে মৃগাঙ্ক মাইতি জানান, ‘বাসের স্ট্যান্ডে প্রবেশ এবং বেরোনোর বেশ কিছু নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে।’
অন্যদিকে, টোটো-অটো নিয়েও একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাসস্ট্যান্ডে বাস বেরোনোর বা ঢোকার মুখে যাতে টোটো বা অটো না দাঁড়ায় সেক্ষেত্রে বাসস্ট্যান্ডে ঢোকার আগে মঙ্গল পাণ্ডে সরণিতে টোটো দাঁড়ানোর ব্যাপারে বলা হয়েছে। ফলত, স্ট্যান্ডের মুখের জট অনেকটাই কাটানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এফসিআইয়ের কোনও গাড়ি মেদিনীপুর শহরে প্রবেশ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টোটোর রুট কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, শহরে টোটোর সংখ্যা যাতে কমানো যায় সে ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, ‘বাস আমতলা, জগন্নাথ মন্দির, জজকোর্ট, কেরানিতলা হয়ে বাসস্ট্যান্ড ঢুকবে। কেননা অনেক যাত্রীকেই আগে মোহনপুর ব্রিজের কাছে নামতে হতো। তাঁদেরকে অতিরিক্ত ২০ টাকা খরচ করে গন্তব্যস্থলে যেতে হত। সবার সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এফসিআইয়ের গাড়ি গোলাপিচক হয়ে ঢুকবে। মেদিনীপুর শহরকে যানজট মুক্ত করার এই সিদ্ধান্ত ১৪ তারিখ থেকেই কার্যকরী হবে।’ মেদিনীপুর শহরে যানজট মুক্তির একাধিক কতোটা কার্যকরী হয়, সেটাই এখন দেখার।
