Primary School : গলদঘর্ম অবস্থা পড়ুয়াদের, ক্লাসরুম ‘কুল’ রাখতে এসির ব্যবস্থা শিক্ষকদের – nadia primary school arranged ac in classroom to increase student attendance


গলদঘর্ম অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। গরমে কাহিল হয়ে পড়ছে বাচ্চারাও। স্কুল চালু থাকলেও গরমের চোটে নাজেহাল স্কুলের পড়ুয়ারা। স্কুলের বাচ্চাদের কথা ভেবেই এবার ক্লাসরুমে এসি লাগানোর ব্যবস্থা করলেন স্কুল শিক্ষকরা। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে বিষয়টি স্বাভাবিক হলেও গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে যা অভাবনীয়। তেমনটাই হল নদিয়া জেলার একটি প্রাথমিক স্কুলে।নদিয়া জেলার হবিবপুরের দোহার পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসঘরে বসল এসি। গরমে স্কুল না আসার প্রবণতা দেখা দিয়েছিল পড়ুয়াদের মধ্যে। তীব্র গরমে শরীর জুড়োতেও যদি স্কুলে আসে ছোটরা, তাহলেও কিছুটা অন্তত শিক্ষাটা দেওয়া যায় তাঁদের, এমনটাই ভাবনা স্কুলের শিক্ষকদের । তবে এতে ফলও মিলেছে বলে দাবি এই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর সরকার জানান, এই প্রবল দাবদাহে এবার অনেক আগেই স্কুলে ছুটি পড়ে গিয়েছিল। স্কুল খোলার পরেও গরমের তীব্রতা এতটুকু কমেনি। বহু অভিভাবকই এই গরমে ছোটদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। অনেকসময় ছোটরাও কিন্তু স্কুলে আসতে চাইছে না। এই পরিস্থিতিতেই ক্লাসঘরে এসি বসানোর চিন্তাভাবনা মাথায় আসে তাঁদের।

প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরানো যাবে কী করে, এই নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েই আমরা স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বসে আলোচনা করে এসি বসানোর কথা ভাবি। তারপরেই আমরা পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলি। কথা বলি ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টরের সঙ্গে।’ প্রধান শিক্ষক জানান, তাঁদের অনুমতি নিয়েই স্কুলের ক্লাসঘরে এসি বসানো হয়। স্কুলের জন্য যে ফান্ড আসে তার সঙ্গে আমরা শিক্ষক শিক্ষিকারাও হাত মিলিয়ে এই ব্যবস্থা করি।

Summer Holiday Special Class : গরমের ছুটিতে সন্ধে নামতেই স্কুলে পড়ুয়ারা! বিস্তারিত জানুন

বিদ্যুতের বিল কে বহন করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বারো মাস তো আর এসি চালাব না। ইদানিং এতটাই তীব্র গরম পড়েছে যে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলমুখ হচ্ছে না। এসি চলবে এক মাস। বাড়তি বিল বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজেদের অর্থ থেকেই মেটানো হবে।’

মায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় মোবাইল রিচার্জ করে পড়াশোনা, ডাক্তারিতে চান্স বীরভূমের রাহুলের
হবিবপুরের দোহারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব মিলিয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৫২। স্কুলের একটি ঘরেই চলছে ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত ক্লাস। ঠান্ডা ঘরে বসে ক্লাস করতে মজা পাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরাও। ক্লাসে আসছে নিয়মিত। নিশ্চিন্তে পড়াতে পেরে খুশি শিক্ষক শিক্ষিকারাও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *