স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর সরকার জানান, এই প্রবল দাবদাহে এবার অনেক আগেই স্কুলে ছুটি পড়ে গিয়েছিল। স্কুল খোলার পরেও গরমের তীব্রতা এতটুকু কমেনি। বহু অভিভাবকই এই গরমে ছোটদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। অনেকসময় ছোটরাও কিন্তু স্কুলে আসতে চাইছে না। এই পরিস্থিতিতেই ক্লাসঘরে এসি বসানোর চিন্তাভাবনা মাথায় আসে তাঁদের।
প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরানো যাবে কী করে, এই নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েই আমরা স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বসে আলোচনা করে এসি বসানোর কথা ভাবি। তারপরেই আমরা পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলি। কথা বলি ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টরের সঙ্গে।’ প্রধান শিক্ষক জানান, তাঁদের অনুমতি নিয়েই স্কুলের ক্লাসঘরে এসি বসানো হয়। স্কুলের জন্য যে ফান্ড আসে তার সঙ্গে আমরা শিক্ষক শিক্ষিকারাও হাত মিলিয়ে এই ব্যবস্থা করি।
বিদ্যুতের বিল কে বহন করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বারো মাস তো আর এসি চালাব না। ইদানিং এতটাই তীব্র গরম পড়েছে যে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলমুখ হচ্ছে না। এসি চলবে এক মাস। বাড়তি বিল বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজেদের অর্থ থেকেই মেটানো হবে।’
হবিবপুরের দোহারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব মিলিয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৫২। স্কুলের একটি ঘরেই চলছে ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত ক্লাস। ঠান্ডা ঘরে বসে ক্লাস করতে মজা পাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরাও। ক্লাসে আসছে নিয়মিত। নিশ্চিন্তে পড়াতে পেরে খুশি শিক্ষক শিক্ষিকারাও।