সব মিলিয়ে উল্টোডাঙার ওই আবাসনে ১২০০ লোকের বসবাস। এ দিন ওই আবাসনের সদস্যদের কুণাল জানান, সেখানে যা ঘটেছিল, সেটা মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আসতেই তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। দুঃখপ্রকাশ করার কথা বলেছেন। আবাসনের কয়েক জন সদস্য জানান, সে দিনের মিছিলের বিরোধিতা তাঁরা করিনি। সামাজিক মাধ্যমে কেউ হয়তো মিছিলের ভিডিয়ো প্রচার করেছিলেন।
কুণাল বলেন, ‘আবাসনে অনেক লোকের বাস। কারও হয়তো খারাপ লেগেছে।’ শান্তিরঞ্জনের বক্তব্য, ‘আবাসনের কাউকে বিরক্ত করার জন্যে মিছিল করা হয়নি। কারও খারাপ লাগলে আমরা দুঃখিত।’ হাতজোড় করে কুণালরা আবাসিকদের জানান, সে দিন যা ঘটেছিল, সবটাই অনিচ্ছাকৃত।
ঘটনা হলো, উল্টোডাঙার ওই আবাসনটি মানিকতলা বিধানসভার আওতায়। আগামী ১০ জুলাই সেখানে উপনির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, আবাসনে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের ক্ষমা চাওয়ার সুফল পেতে পারে তৃণমূল। সরকারি ভাবে মানিকতলা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম তৃণমূল ঘোষণা না করলেও বুধবার অনেক জায়গাতেই সুপ্তি পাণ্ডের নামে পড়ে গিয়েছে পোস্টার।
লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতেই দক্ষিণ কলকাতার বেশ কয়েকটি আবাসনেও কাচের বোতল ছোড়ার অভিযোগ সামনে এসেছিল। আবাসনের সামনে জঞ্জাল ফেলারও অভিযোগ তুলেছেন কয়েক জন আবাসিক। এর পাশাপাশি এলাকা দখলের লড়াইয়ে সম্প্রতি ঝামেলায় জড়াতে দেখা গিয়েছে দুই কাউন্সিলারের অনুগামীদের। চলেছে বোমা, গুলি।
তৃণমূলের অন্দরের খবর, নির্বাচন-পরবর্তী এই সব ঘটনা ভালো ভাবে নিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মনে করেন, এ সবে নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন অনেক বাসিন্দা। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে দিকে নজর রাখার জন্যে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফিরহাদ বলেন, ‘কাউন্সিলারদের কাজ মানুষের সমস্যায় পাশে দাঁড়ানো। সবার কাছে আমার অনুরোধ, আরও বেশি করে এলাকার উন্নয়নে জোর দিন।’