এই সময়: ডিএ-আন্দোলনের নেতা, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষকে আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্রেপ্তার করা যাবে না, তবে রাজ্য তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে বলে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, রাজ্যকে মামলার কেস ডায়েরি ও মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। আগামী ১৮ জুলাই ওই মামলার পরবর্তী শুনানি।কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনে নামা সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চর নেতা ভাস্কর ঘোষের বিরুদ্ধে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বরের এক মহিলা অভিযোগ দায়ের করেন। ভাস্করের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিক্ষোভ আন্দোলনে যাওয়ার সময়ে স্থানীয় বাসিন্দা এক অন্তঃসত্ত্বাকে তিনি শ্লীলতাহানি করেন, ঠেলে ফেলে দেন এবং তার ফলে ওই মহিলার গর্ভপাত হয়ে যায়।
ওই মহিলা তখন পুকুর থেকে স্নান করে ফিরছিলেন। ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ভাস্করের বিরুদ্ধে মামলা করা রুজু হয়েছে। সেই মামলায় রক্ষাকবচ চেয়ে তিনি হাইকোর্টে মামলা করেন। এ দিন ভাস্কর ঘোষের আইনজীবী অরিন্দম জানা আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল গত ১৬ মে একটি ধর্না কর্মসূচিতে পাণ্ডবেশ্বরের আইসিডিএস অফিসের কাছে অংশ নেন। সেখানে আইসিডিএসের কর্মীরা ছিলেন। বেলা ১১টা নাগাদ ডেপুটেশন দেওয়ার সময়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা।
ওই মহিলা তখন পুকুর থেকে স্নান করে ফিরছিলেন। ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ভাস্করের বিরুদ্ধে মামলা করা রুজু হয়েছে। সেই মামলায় রক্ষাকবচ চেয়ে তিনি হাইকোর্টে মামলা করেন। এ দিন ভাস্কর ঘোষের আইনজীবী অরিন্দম জানা আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল গত ১৬ মে একটি ধর্না কর্মসূচিতে পাণ্ডবেশ্বরের আইসিডিএস অফিসের কাছে অংশ নেন। সেখানে আইসিডিএসের কর্মীরা ছিলেন। বেলা ১১টা নাগাদ ডেপুটেশন দেওয়ার সময়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা।
পাণ্ডবেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেখানে ভাস্কর ছিলেন বলে থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগেও উল্লেখ করা হয়েছে। আবার, অভিযোগকারিণী বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ভাস্করের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ভাস্করের আইনজীবীর প্রশ্ন, তাঁর মক্কেল যদি ওই আন্দোলনে থাকেন, তা হলে তিনি ওই মহিলাকে কী ভাবে আহত করলেন?
ভাস্করের আইনজীবীর দাবি, আসলে বকেয়া ডিএ নিয়ে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করায় ভাস্করকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। তবে আদালতে রাজ্য সরকারের বক্তব্য, ভাস্কর ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর এবং তার তদন্ত হওয়া জরুরি।