Sandeshkhali News,অস্ত্র সরাতেই ইডি-র উপর হামলার ছক সন্দেশখালিতে, চার্জশিটে দাবি CBI-এর – cbi claims attacked on ed for moving weapons in sandeshkhali


এই সময়: রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে সন্দেশখালিতে গিয়ে গত ৫ জানুয়ারি স্থানীয় লোকজনের একাংশের হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল ইডির আধিকারিকদের। লাগাতার আক্রমণের কারণে সেদিন শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই।সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পেরেছে, অস্ত্রের হদিশ যাতে না পেয়ে যায় ইডি, তা নিশ্চিত করতেই সেদিন হামলা হয়েছিল সন্দেশখালিতে। ওই হামলার সময়েই শাহজাহানের বাড়ি থেকে অন্যত্র সরানো হয়েছিল অস্ত্র। বসিরহাট আদালতে গত মাসে যে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই, সেখানে এমনটাই দাবি করা হয়েছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।

ওই হামলার কয়েক মাস পরেই প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয় সন্দেশখালি এলাকা থেকে। ২৬ এপ্রিল সরবেড়িয়ায় আবু তালেব মোল্লার বাড়ি হানা দিয়ে উদ্ধার হয় বেশকিছু বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা। এসব অস্ত্র শাহজাহানের বাড়ি থেকে আনা হয়েছিল বলেই চার্জশিটে দাবি সিবিআইয়ের। যদিও আবুর পরিবারের দাবি, শাহজাহানের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগাযোগ ছিল না। তদন্তকারীদের আবার দাবি, অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা থেকেই স্পষ্ট, সন্দেশখালি জুড়ে প্রচুর অস্ত্র ছড়িয়েছিটিয়ে ছিল।

ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্তে নেমে সন্দেশখালির একাধিক নেতাকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তবে, কী কারণে ওই অস্ত্র রাখা হয়েছিল, তার নির্দিষ্ট কোনও তথ্য এখনও আসেনি তদন্তকারীদের হাতে। সন্দেশখালির একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং ওই অস্ত্র উদ্ধারের ভিত্তিতেই মে মাসে বসিরহাট আদালতে শেখ শাহজাহান-সহ সাতজনের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই, সেখানেই অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

যদিও শুরু থেকেই শাহজাহান দাবি করে আসছেন, ইডির উপর হামলার ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। অন্যদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিনও জামিন পেলেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এদিন ইডির বিশেষ আদালতে নিজেই সওয়াল করেন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি।

নারদ মামলায় সব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত কেন নয়? প্রশ্ন আদালতে

তিনি বলেন, ‘দু’বছর ধরে জেলে আছি। কিন্তু, এখনও চার্জ ফ্রেম করেনি ইডি-সিবিআই। নিজেরা ধীরে তদন্ত চালাচ্ছে, অথচ আমার বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভাব তুলছে।’ ইডির তরফে অবশ্য পাল্টা দাবি করা হয়, তদন্ত ঠিকঠাকই এগোচ্ছে। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে ২৯ জুন পর্যন্ত মানিককে জেল হেফাজতের রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

আবার, এদিনই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডলকে ২৭ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *