ঘটনার খবর পেয়েই বৃহস্পতিবার সকালে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকাত মোল্লা সেখানে পৌঁছন। পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। মৃতের স্ত্রী বলেন, ‘ও আগেও প্রচুর মদ খেত। কিন্তু, কোনওদিন অজ্ঞান হয়নি। আমার মেয়ে বলেছিল বাবার জিভ, নখ কালো হয়ে গিয়েছে। আমি তখনও খেয়াল করিনি। পাড়ায় কয়েকজন বাঁশ নিয়ে ঘুরছিল। ওরাই ডেকে নিয়ে গিয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামীর কিছু ধার ছিল। সেই কারণেই হয়তো স্বামীকে মেরে ফেলল।’ এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন শওকত মোল্লা। তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ আমাদের দলের সদস্য ছিল। বুধবার রাতে ও খুন হয়েছে। কী ভাবে খুন হয়েছে সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু বলতে পারছি না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পর এই নিয়ে সঠিক কোনও বিষয় জানা সম্ভব হবে। ও খুব ভালো ছেলে। ওর পরিবার অত্যন্ত অসহায়। আমরা ওর সঙ্গে রয়েছি। পুলিশ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে।’ টাকা পয়সা নিয়ে বিবাদের জেরেই কি এই ঘটনা? শওকত মোল্লা বলেন, ‘পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার পরেই এই নিয়ে সত্য সামনে আসবে।’
ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো থমথম এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রবীন্দ্রনাথ মদ্যপান আগেও করেছেন। কিন্তু, তাঁকে মাদক খাইয়ে খুন করা হয়েছে কিনা এই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের তরফে জানানো হচ্ছে, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট সামনে আসার পরেই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব হবে।