মৃতের পরিবারের অভিযোগ, একজন ট্রেনি নার্স ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ায় নিশার মৃত্যু হয়েছে। এক আত্মীয় বর্ষা শিকদার বলেন, ‘গ্যাস-অম্বলের জন্য বুকে ব্যথা হচ্ছিল নিশার। হাসপাতালে ভর্তি করার পর একজন ডাক্তার এসে দেখে যান। দুপুরের দিকে একজন ট্রেনি নার্স ভুল ইঞ্জেকশন দিতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। আইসিইউ-তে দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় নিশার।’
সেই খবর এলাকায় পৌঁছতেই পাড়ার ছেলেরা হাসপাতালে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। মহিলা ওয়ার্ড ও আইসিইউ-তে চলে ভাঙচুর। নিউ টাউনশিপ থানা, দুর্গাপুর থানার ওসি-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এলে তাদের সঙ্গেও বচসা শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সামনে ফের ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাস্থলে কমব্যাট ফোর্স পৌঁছনোর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল বলেন, ‘এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ খাদ্যে বিষক্রিয়া নিয়ে ভর্তি হয়েছিল মেয়েটি। মেডিসিনের এক ডাক্তার তাকে পরীক্ষা করেন। দুপুরের দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়। পরে মৃত্যু হয় মেয়েটির।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে সুপার বলেন, ‘ট্রেনি নার্সের ভুল ইঞ্জেকশনে মৃত্যুর অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। ট্রেনি নার্সরা থাকেন স্টাফ নার্সদের সঙ্গে। স্টাফ নার্সরা কাজ করেন। তাও আমরা মৃত্যুর তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করছি। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হাসপাতালে ভাঙচুরের জন্য আমরা পুলিশে অভিযোগ করব।’