লোকসভা ভোটে বাজিমাত করতে না পারলেও মুকুটমণি অধিকারীর ক্ষমতা যে আগামীদিনে বৃদ্ধি করা হবে, সেই নিয়ে দলের তরফেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। মতুয়া সমাজের একটি বড় অংশ মুকুটমণির পাশে রয়েছে। ফলে তাঁকে আরও একবার নিজের ছেড়ে আসা কেন্দ্র পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, তৃণমূলে মুকুটমণি নতুন হলেও তরুণ এই মুখ ইতিমধ্যেই জেলার সমস্ত স্তরে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন বিজেপিতে থাকায় প্রতিপক্ষের শক্তি এবং দুর্বলতা মেপে সমরনীতি সাজানো মুকুটমণির জন্য অনেক সহজ হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এদিকে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির কার্তিকচন্দ্র পালের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তৃণমূলে যোগদানের পর তিনি বিধানসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসসি)-র চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন। একসময় এই পদে আসীন ছিলেন মুকুল রায়।
বিধানসভা উপনির্বাচনে ফের একবার কৃষ্ণ-নামেই ভরসা রেখেছে তৃণমূল। স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের কথায়, রায়গঞ্জে উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে জেলা তৃণমূল মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস, জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি অরিন্দম সরকার সহ বেশ কিছু নাম হাওয়ায় ভাসছিল।
কিন্তু, উপনির্বাচনে কৃষ্ণ কল্যাণীর উপরেই ভরসা রেখেছে তৃণমূল। উল্লেখ্য, আগামী ১০ জুলাই রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে উপনির্বাচন। ২১ জুন মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ভোটগণনা হতে চলেছে ১৩ জুলাই।