এরপরেই আমি সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত নিচে নামতে থাকি। তবে, সিঁড়ি জঞ্জাল-আবর্জনায় ভর্তি ছিল। অনেকেই নামতে পারছিলেন না। বাকিদের সাহায্য করার চেষ্টা করলাম। এর মাঝেই একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা আটকে পড়েছিলেন। সেখানেই অসুস্থ হয়ে গেলেন তিনি। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে স্ট্রেচারে করে নামানোর ব্যবস্থা করা হল। প্রথমে তাঁকে একটা চেয়ারে বসানো হল। স্ট্রেচার আনা পর্যন্ত তাঁকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে বলা হল। তাঁকে নিচে নামিয়ে বাড়ির লোককে খবর দেওয়া দ্রুত আসার জন্য। তাঁকে সম্ভবত পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপরেই আমাদের অফিসের বাকি কর্মীরা সকলে নিরাপদে নেমেছে কিনা, সেদিকে নজর দিতে শুরু করলাম। আমরা যখন সকলকে সিঁড়ি দিয়ে নামানোর চেষ্টা করাচ্ছিলাম, তখন অনেককেই সিঁড়ি দিয়ে নামানো যাচ্ছিল না। সিঁড়িতে এত জঞ্জালের স্তূপ ছিল, সমস্ত লোক নামতে পারছিল না। ওর মধ্যে যতটা পারা যায়, আমরাই হাত লাগিয়ে জঞ্জালের স্তূপ সরিয়ে মানুষকে দ্রুত নামার জন্য বললাম। নিচের লোককে না সরাতে পারলে উপরের অনেকেই আটকে ছিলেন। এর মাঝেই আবার উপরে উঠলাম। তাঁদেরকে দ্রুত নেমে আসার জন্য অনুরোধ করলাম।
বেশ কিছুটা সময় লাগল, সকলকে নামিয়ে আনতে। তবে, সকলেই নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন। সিঁড়ির অবস্থা যে এরকম হয়ে আছে আমরা জানতাম না। ভয়াবহ এগুলি লাগার কারণেই জানলাম। বরাবরই আমরা লিফট ব্যবহার করতাম বলে সিঁড়ির দিকে যাওয়া হয়নি। সিঁড়িতে বাঁশ-কাঠ, পাথর সহ না জঞ্জালে ভর্তি হয়েছিল। সেই কারণেই অনেকের নামতে অসুবিধা হয়।
আগুনটা মূলত, বুক স্টোরে লেগেছিল। বুক স্টোর থেকে পরে ফুড কোর্টে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে আমার মনে হয়। আমি ১৯ তলায় একটি কোম্পানিতে খুব ছোট পদে কাজ করি। কিন্তু, এরকম ভয়াবহ আগুনের মাঝে বিপদের সময়ে যাতে মানুষকে সাহায্য করা যায়, সেই চেষ্টা করে গিয়েছি।