আগামী শুনানিতে তাদের রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি সিনহা। দেবমাল্য ঘোষের আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, ‘তদন্তের গতি নিয়ে আমরা আদালতকে জানিয়েছি। সিআইডি তদন্তে খুশি নয় আদালত। বিচারপতি দ্রুততার সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সিআইডিকে। তদন্তের গতিপ্রকৃতি না বদলালে আগামী দিনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যোগ করেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত্ব যে দু’টি ব্যাঙ্ক থেকে মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনা ঘটেছে, তাদের কাছেও রিপোর্ট চেয়েছেন বিচারপতি। কারণ, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে ব্যাঙ্কের দায়িত্ব ছিল ইডিকে জানানো। সেটা ব্যাঙ্ক করেনি।’ প্রসঙ্গত, এখনও অবধি এই আর্থিক কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত ভক্ত মণ্ডল অধরা। এই মামলায় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অফিসার ও রেজিস্ট্রারের দিকে।
সে প্রসঙ্গে আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, ‘এদিন আমরা বিচারকের কাছে জানিয়েছি মূলত যে দু’জনের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ফিন্যান্স অফিসার কী করে এখনও একই পদে থেকে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি বিচারপতি নোট করেছেন।’ ফিক্সড ডিপোজ়িট ভাঙানোর সময়ে সই জাল করা হয়েছে বলে যে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় করেছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে আদালতে।
আইনজীবী বলেন, ‘সই যে জাল করা হয়েছে এটা কে বলছে? এক্ষেত্রে কি কোনও রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে? এটাও আমরা আদালতের নজরে এনেছি।’ এদিন এই মামলায় পূর্বতন উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহাকে যুক্ত করার আবেদন জানানো হয়। সে বিষয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আদালতের এদিনের পর্যবেক্ষণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম চন্দ্র কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘আদালত বিশ্ববিদ্যালয়কে যা নির্দেশ দেবে আমরা সেটা পালন করব। বিচার্য বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’ মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ জুলাই।