গত কয়েক বছর ধরেই টালা প্রত্যয়ের মণ্ডপ সজ্জার দায়িত্বে ছিলেন শিল্পী সুশান্ত পাল। এইবারও তাঁর হাতেই সেজে উঠবে মণ্ডপ। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে শুরু হয় টালা প্রত্যয়ের মণ্ডপ সজ্জার কাজ। শিল্পীর কথায়, ‘মানুষ যেভাবে ভালোবাসা দিয়েছে তাতে দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। সেই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব।’
এদিকে বাজেটের বিষয়টি এখন থেকেই ভাবতে নারাজ উদ্যোক্তারা। তাঁদের কথায়, ‘মণ্ডপ তৈরির পর এই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হবে।’ তবে ২০২৫ সালে টালা প্রত্যয়ের পুজো ১০০ বছরে পা দিতে চলেছে। ফলে সেই কথা মাথায় রাখা হবে বলে জানাচ্ছেন আয়োজকরা।
২০২৩ সালে টালা প্রত্যয়ের থিম ছিল ‘কহন’। লোহার প্রাসাদে অপরূপ সজ্জায় সাজানো হয়েছিল মণ্ডপ। ছিল আলো ছায়ার খেলা। কলকাতার অন্যতম চর্চার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিল এই পুজো মণ্ডপ। নবান্ন ‘টালা প্রত্যয়’-কে ‘সেরার সেরা’ পুজো সম্মান দিয়েছিল নবান্ন।
থিম এবং মণ্ডপসজ্জা নিয়ে উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতার লড়াই আজকের নয়। তা বছরের পর বছর চলে আসছে। যদিও টালা প্রত্যয়ের উদ্যোক্তাদের কথায়, ‘দক্ষিণ কলকাতা থিম নিয়ে দাপট ধরে রেখেছে। একই সঙ্গে উত্তর কলকাতার একাধিক পুজোও গত কয়েক বছরে মানুষের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে।’
কহন কথা শোনাতে গিয়ে আলো ছায়ার বিশেষ ব্যবহার করেছিলেন শিল্পী। ‘বিমূর্ত’-র ক্ষেত্রে কি সেই ধরনের কোনও ভাবনা রয়েছে? এই প্রশ্ন করা হলেও থিম নিয়ে কোনও ‘স্পয়েলার’ দিতে চায়ছেন না আয়োজকরা। আপাতত কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন দেখার ৯৯ তম বছরে সাধারণ মানুষকে কী চমক দেয় টালা প্রত্যয়!