Howrah News,টার্গেট ৯০ টাকা আয়, নাতিদের পড়াশোনা‌ চালাতে বাদাম বিক্রি হাঁদুরাম দাদুর – old man handuram das selling nuts for his grandson education at howrah uluberia


তাঁর একটাই লক্ষ্য, বাদাম বিক্রি করে তাঁকে রোজ ৯০ টাকা উপার্জন করতে হবে। যার মধ্যে ট্রেনের টিকিট ১০ টাকা, আর বাকি ৮০ টাকা ঘরে নিয়ে যেতে হবে। কারন এই ৮০ টাকা ঘরে নিয়ে যেতে না পারলে তাঁর দুই নাতির পড়াশুনার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। আর সেইজন্য প্রতিদিন বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ট্রেনে চেপে উলুবেড়িয়ায় এসে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বাদাম বিক্রি করেন বছর ৬৫-এর হাঁদুরাম দাস। তবে গরমে ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রি করলেও কষ্ট নেই বৃদ্ধের। কারণ তার একটাই লক্ষ্য দুই নাতির পড়াশুনা।উলুবেড়িয়া চেঙ্গাইলের সাঁপুইপাড়ার বাসিন্দা হাঁদুরাম দাসের বাড়িতে স্ত্রী, ছেলে, বউমা, ও দুই নাতি আছে। ছেলের সামান্য উপার্জনে কোনওরকমে সংসার চলে। দুই ছেলের পড়াশোনার খরচ সামলাতে হিমশিম খেতে হয় বাবাকে। আর সেই কারণে দুই নাতির পড়াশোনার খরচের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন বৃদ্ধ হাঁদুরাম দাস। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে বাজার থেকে বাদাম কিনে এনে বাড়িতে প্যাকেট করি। তারপর বিকেলে চেঙ্গাইল ষ্টেশন থেকে ট্রেন ধরে উলুবেড়িয়া ষ্টেশনে নামি। পরে সেখানে থেকে পায়ে হেঁটে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রি করি।’

হাঁদুরাম আরও বলেন, ‘প্রতিদিন আমাকে বাদাম বিক্রি করে ৯০ টাকা উপার্জন করতে হবে। তার মধ্যে ট্রেন ভাড়া বাদ দিয়ে ৮০ টাকা বাড়িতে নিয়ে গেলে দুই নাতির পড়াশুনার খরচ সামলানো যাবে।’ বৃদ্ধ জানান, গৃহশিক্ষকরা অর্ধেক বেতন নিলেও পড়াশোনার খরচ আছে। সেইজন্যই তাঁকে বাদাম বিক্রি করতে হচ্ছে। আর যতদিন পারবেন ততদিন নাতিদের পড়াশোনার জন্য এইভাবে বাদাম বিক্রি করে যাবেন।

এদিকে এই বিষয়ে উলুবেড়িয়া পুরসবার ভাইস চেরায়ম্যান ইনামুর রহমান বলেন, ‘এই ধরনের কোনও বিষয় আমাদের জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব এবং অবশ্যই পাশে থাকব।’ এখন দেখার বাস্তবেই ওই বৃদ্ধ ও তাঁর পরিবারের দিকে বাস্তবেই কেউ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন কি না।





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *