Mamata Banerjee : মমতার উদ্যোগে দুবাই স্টাইলে ‘শো-কেস বেঙ্গল’ – west bengal government is opening such a festival on dubai model


এই সময়: গোল্ড প্লেটেড কফি থেকে বিশ্বমানের গ্যাজেট— যা কিছু তাঁদের সেরা, বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে আনা হয় এক চত্বরে। সেগুলি দেখতে, সেখানকার স্পেশাল মেনুর স্বাদ নিতে, হোয়াইট গোল্ড অর্নামেন্টস কিনতে পর্যটকের বান ডাকে দুবাইয়ে। সেই উৎসবের নাম ‘দুবাই শপিং ফেস্টিভ্যাল’। এই উৎসবের হাত ধরে বদলে গিয়েছিল দুবাইয়ের অর্থনীতির ছবিটা। দুবাইয়ের আদলে এবার এমনই এক উৎসবের দরজা খুলছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।এও এক রকম ‘শপিং ফেস্টিভ্যাল’। তার নাম হতে পারে ‘শো-কেস ওয়েস্ট বেঙ্গল’। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে শিল্পপতি ও বণিকসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে বিশ্ববঙ্গ শিল্প সম্মেলনও তাঁরই ভাবনার ফসল। এবার তেমনই এক বিশ্বমানের উৎসবের সূচনা হতে চলেছে শহরে। আগামী সেপ্টেম্বরে হতে পারে এই উৎসব।

নবান্ন সূত্রের খবর, এবার অবশ্য বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (বিজিবিএস) হচ্ছে না। লম্বা ভোটপর্বের জন্য প্রশাসনিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়েছে। সেই কারণেই বিজিবিএস-এর সাময়িক বিরতি বলে সূত্রের খবর। পরের বার আবার হবে এই শিল্প সম্মেলন।

সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে ‘শো-কেস ওয়েস্ট বেঙ্গল’ শীর্ষক বিশেষ ওই ফেস্টিভ্যাল হবে। সেখানে বাংলার হস্তশিল্প, বস্ত্রশিল্প, বিভিন্ন জেলার নিজস্ব খাবার থেকে শুরু করে সেল্ফ হেল্প গ্রুপের তৈরি সামগ্রীও থাকবে। এই উৎসব সারা দেশের পাশাপাশি বিশ্বের কাছেও তুলে ধরা হবে।

৯ অক্টোবর দুর্গাপুজোর মহাষষ্ঠী। ফলে সেই সময়টি কার্যত এ রাজ্যে শপিংয়েরই মরশুম। এমনিতে পুজোকে বিশ্বের দরবারে নতুন করে তুলে ধরেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। উৎসবের মরশুমে অনেক বিদেশি পর্যটকও শহরে থাকেন। ফলে রাজ্যের এই শপিং ফেস্টিভ্যাল অন্য মাত্রা পাবে বলেই মনে করছে রাজ্যের বণিক মহল।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী শিল্পপতিদের বলেন, ‘রাজ্যে শিল্পের জন্য জমির কোনও অভাব নেই। এই মুহূর্তে রাজ্যে পাঁচটি ইকোনমিক করিডর তৈরির কাজ চলছে।’ বৈঠকে এক ইস্পাত সংস্থার প্রতিনিধি জমির প্রসঙ্গ তুলতেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে জমি রয়েছে। সেখানে ইস্পাত কারখানা তৈরি করা যেতে পারে।

তিনি পরিষ্কার করে দেন, রাজ্য সরকার শিল্প স্থাপন ও রপ্তানি বাণিজ্যকে সব ধরনের সাহায্য করতে প্রস্তুত। ভারী শিল্প স্থাপনের পাশাপাশি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য। বৈঠকে রাজ্যের সর্বশেষ বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বণিকসভা ও শিল্পসংস্থার প্রতিনিধিদের মতামতও শোনেন। রাজ্যে শিল্প ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বিনিয়োগগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, তা নিয়েও খোঁজখবর নেন তিনি।

Mamata Banerjee : ওভারলোডিং থেকে ফেক ভিডিয়ো, ​​প্রশাসনিক বৈঠকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর

শিল্প প্রতিনিধিদের মমতা বলেন, ‘ভোটের জন্য প্রায় তিন মাস কাজ বন্ধ ছিল। ফলে এখন কাজে গতি আনতে হবে।’ বিনিয়োগ নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান ও শিল্প সচিবকে তা দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, শিল্প নিয়ে কেউ গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করলে তাকে রেয়াত করা হবে না।

শিল্পায়নের পাশাপাশি রপ্তানি ব্যবসা বৃদ্ধির উপরও গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য। এই ধরনের ব্যবসা, বিশেষ করে বাংলায় উৎপাদিত সামগ্রী রপ্তানি করার জন্য রাজ্য সরকার সব রকম সাহায্য করবে বিনিয়োগকারীদের।





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *