তাতে তিনি বলেছেন, ‘আমি ডায়মন্ড হারবারের গণদেবতার প্রতি বিনীতভাবে আমার প্রণাম জানাচ্ছি। আপনাদের সহযোগিতা ও প্রার্থনাই আমাকে ভালোবাসার ঋণে আবদ্ধ করেছে। গঠনমূলক উন্নয়নের মাধ্যমে আমি এই ঋণ পরিশোধের শপথ নিচ্ছি।’ পাশাপাশি বাংলা তথা দেশবাসী এবং তৃণমূলে তাঁর সহকর্মীদের উদ্দেশেও শুভেচ্ছা জানিয়ে অভিষেকের বার্তা, ‘আপনারাই এই জয়ের প্রধান ভিত্তি।’
অভিষেকের ‘স্বল্প বিরতি’তে যাওয়ার ঘোষণায় যখন তৃণমূলের অন্দরে বিস্তর জল্পনা চলছে, তখন তাঁর এদিনের সফর ও বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন সন্ধেয় ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের অন্তর্গত আমতলায় সাংসদ কার্যালয়ে অভিষেক দেখা করেন এই লোকসভার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা এলাকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে।
সূত্রের খবর, সেখানে নির্দিষ্ট ভাবে কাউকে ডাকা হয়নি। তবে অভিষেক আসছেন, খবর পেয়ে অসংখ্য কর্মী-সমর্থক জড়ো হয়ে যান আমতলার অফিসে। তৃণমূল সূত্রে খবর, অভিষেক নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জানিয়েছেন, এই রেকর্ড গড়া সম্ভব হয়েছে কর্মীদের জন্যই। তাঁরাই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্প এবং সাংসদ হিসেবে তাঁর কাজ ও সংকল্পের কথা প্রচার করেছেন, তুলে ধরেছেন বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার কথাও। মানুষ তাতে সাড়া দিয়েছেন।
রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এই সফরের কয়েকটি ছবি পোস্ট করে অভিষেক লেখেন, ‘মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক, আমি তোমাদেরই লোক।’ শুধু বাংলা নয়, দেশের অন্যান্য প্রান্তেও যেভাবে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে লোকসভা ভোটে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে জনতা—সে কথা উল্লেখ করে অভিষেক লিখেছেন, ‘বিজেপির সব বিষাক্ত নখদন্ত গণতান্ত্রিক উপায়ে উপড়ে ফেলে ৪ জুন বাংলা তথা দেশের মানুষ এক নতুন সূর্যোদয়ের সাক্ষী থেকেছে। ইতিহাসের পাতায় সাধারণ মানুষের এই লড়াই স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। প্রকৃত অর্থেই এই নির্বাচন হয়েছে প্রতিরোধ, প্রতিশোধ ও প্রতিবাদের নির্বাচন। বাংলা বিরোধীদের সব দম্ভ, অহঙ্কার, মেরুদণ্ড চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছে।’