Child Marriage,নাবালিকা নাতনির বিয়ে? ছেলে-বৌমার বিরুদ্ধেই অভিযোগ ঠাকুমার – bardhaman grandmother filed a complaint against her son and daughter in law for resist child marriage


সূর্যকান্ত কুমার, কালনা
পড়াশোনা করতে চায় জানিয়ে বিয়েতে বেঁকে বসে নাবালিকার প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার ঘটনা প্রায়ই সামনে আসে। কখনও নাবালিকা বিয়ে রুখে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে দেখা যায় কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যদেরও। কিন্তু নাবালিকা নাতনির বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, এমন আশঙ্কায় একেবারে ছেলে-বৌমার বিরুদ্ধেই ঠাকুমার থানায় নালিশ ঠুকে দেওয়ার ঘটনা বিরল।সেই ঘটনাই ঘটেছে নাদনঘাট থানা এলাকায়। ঠাকুমার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। শুক্রবার মেয়েকে নিয়ে নাদনঘাট থানায় হাজির হন নাবালিকার মা। পুলিশ বিচারকের কাছে নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য পাঠায় কালনা মহকুমা আদালতে। এদিন বিচারকের কাছে ওই নাবালিকা গোপন জবানবন্দিও দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বাড়িতে নাতনির বিয়ে নিয়ে ভাসা ভাসা কথাবার্তা কানে এসেছিল ঠাকুমার। একদিন তিনি ছেলে, বৌমার সঙ্গে নাতনিকে বাড়ি থেকে বেরিয়েও যেতে দেখেন। কিন্তু, ছেলে-বৌমা ফিরে এলেও নাতনি ফেরেনি দেখে সন্দেহ দানা বাঁধে ঠাকুমার মনে। আদরের নাতনি কোথায় গেল তা জানতে চাইলেও ছেলে-বৌমার কাছে সদুত্তর পাননি।

সন্দেহ বাড়ায় এর পর নাদনঘাট থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন ঠাকুমা। নাতনির বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই আশঙ্কা করে ছেলে, বৌমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ১৪-র ওই নাবালিকা অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া। ঘটনাটি ঘটেছিল এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি। পুলিশের কাছে অভিযোগে নাবালিকার ঠাকুমা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, শুধু পরিকল্পনা নয়, নাতনির বিয়েও হয়ে যেতে পারে। অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯ এপ্রিল মামলা রুজু করে থানা। এর পরই তদন্তে নামে নাদনঘাট থানার পুলিশ।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ওই নাবালিকার বাবা, মা জানান, পারিবারিক সমস্যার কারণে তাঁরা মেয়েকে মামাবাড়িতে রেখে দিয়ে এসেছেন। ঠিক সময়ে তাঁরা মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসবেন। কিন্তু, শুক্রবার মেয়েকে নিয়ে সরাসরি নাদনঘাট থানায় হাজির হন নাবালিকার মা। এরপরই বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার জন্য কালনা মহকুমা আদালতে নাবালিকাকে পেশ করে পুলিশ।

কী ঘটনা ঘটেছে, কেন মামাবাড়ির প্রসঙ্গ উঠল, কেনই বা মেয়েকে নিয়ে থানায় হাজিরা— এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি নাবালিকার মা। তবে পরিচিতদের কাছে ঠাকুমা জানিয়েছেন, তিনি চান, তাঁর নাতনি লেখাপড়া করে নিজের পায়ে দাঁড়াক। সঠিক বয়সে বিয়ে হোক নাতনির। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের গতিপ্রকৃতির উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *