এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়ায় গতকালই ওই নাবালিকাকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই আপাতত তার চিকিৎসা চলছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল বিকালে গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে গ্রাম লাগোয়া একটি জঙ্গলে যায় ওই নাবালিকা। সেখানেই তাকে ওই যুবক ও তার দুই বন্ধু পরপর ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই অসুস্থ হয়ে পড়ে নাবালিকা।
জঙ্গল থেকে ফিরে নাবালিকা বিষয়টি পরিবারের নজরে আনলে পরিবারের লোকজন সঙ্গে সঙ্গে ছাতনা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এরপরই ছাতনা থানার পুলিশ অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত তিন যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ডিএ ধারায় গণধর্ষণ ও পকসো আইনে নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারী বলেন, ‘ছাতনা থানায় একটি ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগ পাওযার পরই তদন্তে নেমে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের পুলিশি রিমান্ড নিয়ে ঘটনার তদন্ত করা হবে।’ তবে, গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে সরকারি আইনজীবী লক্ষ্মীনারায়ণ গোস্বামী জানান, তিন জন অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল। পুলিশের তরফে ছয়দিনের জন্য পুলিশি হেফাজত চাওয়া হয়েছিল। আদালত পুলিশি হেফাজতের করেছে। আগামী ২১ তারিখে তাদের ফের আদালতে পেশ করা হবে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই এরকমই একটি নক্কারজনক ঘটনা ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে। বালুরঘাটের হিলি থানা এলাকার এক নাবালিকাকে লুডো খেলতে যাওয়ার নাম করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে দুজনের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাদের গ্রেফতর করে হেফাজতে নেয়।