তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা অনেকের নজর কেড়েছিল বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। পাশাপাশি তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী নিরুপম সেনের স্নেহের পাত্র ছিলেন। তাঁর সঙ্গে সিপিএম-এর কেন দূরত্ব তৈরি হল? তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি পঙ্কজ।
জানা যায়, রবিবার রানিগঞ্জে জেলা সিপিএম দফতরে একটি বৈঠক হয়। এরপরেই তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত। এই প্রসঙ্গে জেলা কমিটির সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘যিনি দলের পলিশি মেনে কাজ করেন তিনিই একনিষ্ঠ কর্মী। কিন্তু, পঙ্কজবাবু দলের রণকৌশলের বিরোধিতা করে চলেছেন। তাঁকে সংশোধনের চেষ্টা করা হয়েছিল। যখন তিনি সংশোধনের অযোগ্য হয়ে পড়েছিলেন সেই সময় তাঁকে বহিষ্কার করা ছাড়া দলের কাছে কোনও বিকল্প ছিল না। দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
এরপরেই তাঁর তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা আরও প্রবল হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। দুর্গাপুর অঞ্চলে তাঁর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। এছাড়াও আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কের কথা অনেকেই জানেন। তাঁর অনুগামীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়।
পঙ্কজ রায় সরকার যে দুর্গাপুরের রাজনীতিতে একটি বড় ‘ফ্যাক্টর’, এমনটাই জানাচ্ছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল। শোনা যাচ্ছে, রবিবার বিকেল চারটা নাগাদ তিনি তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। যদিও রাজ্যের শাসক দলের তরফে এই নিয়ে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি এখনও।