অভিষেক সেখানে লেখেন, ‘ডায়মন্ড হারবারের গণদেবতার প্রতি আমার বিনীত প্রণাম। সকলের সহযোগিতা ও প্রার্থনাতেই আমি ভালোবাসার ঋণে আবদ্ধ হয়েছি। গঠনমূলক উন্নয়নের মাধ্যমে এই ঋণ শোধ করার শপথ নিচ্ছি।’ পাশাপাশি বাংলা তথা দেশ এবং রাজ্যের শাসক দলের সহকর্মীদের উদ্দেশেও শুভেচ্ছাবার্তা দেন অভিষেক। তিনি জানান, এই জয়ের মূল ভিত্তি তাঁরাই।
ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের আওতায় অবস্থিত আমতলায় সাংসদ কার্যালয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রের সাত বিধানসভা এলাকার নেতা কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। জানা গিয়েছে, সেখানে নির্দিষ্টভাবে কাউকে ডাকা হয়নি। তবে অভিষেকের আসার খবর পেয়েই সেখানে বহু কর্মী-সমর্থক উপস্থিত হন।
তৃণমূল সূত্রে খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে জানিয়েছেন দলীয় কর্মীদের জন্যই এই রেকর্ড গড়া সম্ভব হয়েছে। তাঁরাই রাজ্যের বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের বিষয়ে এবং সাংসদ হিসেবে তাঁর কাজের কথা ও সংকল্পের কথা প্রচার করেছেন। তুলে ধরেছেন বাংলার মানুষের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রসঙ্গও। আর এতে সাড়া দিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
নিজের ডায়মন্ড হারবার সফরের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে অভিষেক লিখেছিলেন, ‘মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক, আমি তোমাদেরই লোক।’ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে উঠেছে সবুজ ঝড়। ২৯টি আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে, ২০১৯ সালের তুলনায় বিজেপির আসন কমে ১৮ থেকে হয়েছে ১২টি। তৃণমূলের সাফল্যের নেপথ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লাগাতার প্রচার, সরকারের জনকল্যাণমূলক কাজের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে জানানো, আগামীতে কী কী উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে তা তুলে ধরার ক্ষেত্রে সাফল্য অন্যতম কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।