ফোনে হুমকি দিয়ে ওই ব্যক্তি জানিয়েছে, ব্যবসায়ীকে আদৌ মারতে চায়নি দুষ্কৃতীরা। কেবল ভয় দেখানোর জন্যেই গুলি ছোড়া হয়েছিল। ফোনে সেই ব্যক্তি জানিয়েছে, খুনের পরিকল্পনা করা হলে তাঁকে গাড়ির শোরুমে ঢুকেই মেরে দেওয়া যেত। গাড়ির পেছনে ধাওয়া করতে হতো না। হুমকি ফোন আসার পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি।
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের বাইকের নম্বর প্লেট চিহ্নিত করা গিয়েছে। সেই নম্বর ধরে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেলঘরিয়া মোড়ের আশেপাশের রাস্তায় একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই চেক করা হয়েছে। এর মধ্যেই বাইকের নম্বর চিহ্নিত করা যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার সঙ্গে টিটাগড়ের কোনও গ্যাং জড়িত কিনা বা ব্যারাকপুরের একাধিক গ্যাংয়ের সদস্যরা এখন জেলে বন্দি। জেল থেকে বসে তারা এই অপারেশন পরিচালনা করছেন কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্যবসায়ীর ফোন কল ঘেঁটে দেখা হচ্ছে। ফোন কোথা থেকে এসেছিল, কারা করেছিল সেগুলি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
শনিবার ভরদুপুরে বেলঘরিয়া মোড়ে ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের গাড়ির উপর গুলিবর্ষণ করা হয়। গাড়িতেই পাঁচটি বুলেটের দাগ পাওয়া গিয়েছে। মোট আট রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল। অজয় মণ্ডলের আগরপাড়া, তেঁতুলতলা, ব্যারাকপুর, কলকাতা সহ বেশ কিছু জায়গায় বাইকের শো রুম আছে। তিনি ব্যারাকপুরের তালবাগানের বাসিন্দা। ব্যবসায়ীর গাড়ির উপর অতর্কিতে গুলি চালানো হয় শনিবার। ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তোলা চেয়ে বেশ কিছু দুষ্কৃতীরা তাঁকে কয়েকদিন ধরে ফোন করছিল। টাকা না দেওয়ায় এই গুলি চালনার ঘটনা ঘটতে পারে বলে তাঁর অনুমান।