আজাদের কথায়, কাপড় দোকান চালিয়েও তিনি সবসময় পরিবারের সব চাহিদা পূরণ করতে পারছিলেন না। তাই তিনি লটারির টিকিট কেটে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপ্নই সত্যি হয়েছে। এবার পরিবারের সকলের জন্য তিনি একটি পাকা বাড়ি তৈরি করতে চান। ব্যবসা বাড়িয়ে এই টাকা দ্বিগুণ করাই এখন তাঁর জীবনের লক্ষ্য।
এদিকে নিরাপত্তার জন্য এদিন রাতেই তিনি বাবা কদম আনসারিকে নিয়ে পূর্বস্থলী থানার দ্বারস্থ হন। পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়েই তিনি ওই টিকিট ব্যাঙ্কে জমা দিয়েছেন। অনেক সময় দেখা যায় লটারিতে কোটি টাকা পেলেও আরও অর্থ পাওয়ার লোভে অনেকে সমস্তকিছু হারিয়ে ফেলেন। আজাদ জানান, তিনি আর লটারির টিকিট কাটতে চান না নতুন করে। যা রয়েছে সেই দিয়েই জীবন নতুনভাবে শুরু করতে চান বলে জানান। তাঁর লটারিতে কোটি টাকা জয়ের খবর ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। তাঁর বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। তাঁকে জানাচ্ছেন শুভেচ্ছাও।
এদিকে, এদিন সকাল হতেই পূর্বস্থলীতে লটারির টিকিট কাটার হিড়িক পড়ে যায়। স্থানীয় বরোজপোতা গ্রামের বাসিন্দা মনসুর আলি শেখের দোকান থেকে বিক্রি হয়েছিল ওই কোটি টাকা জেতার টিকিট।
নিজেদের ভাগ্য যাচাই করার লোভ ছাড়তে পারছেন না এলাকাবাসী। অনেকেই সকাল থেকে তাঁর দোকানে ভিড় জমিয়েছেন। শনিবার বেলা ১১টার মধ্যে তিনি আট হাজার টাকার টিকিট বিক্রি করে ফেলেন। স্বাভাবিকভাবেই খুশি তিনি। তাঁর কথায়, ‘ওই কোটি টাকার লটারির টিকিট আমার দোকান থেকে কেনা হয়েছিল। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দোকানে বেশ ভিড়।’