পরে পুলিশ বন দপ্তরের স্থানীয় বিট অফিসে খবর দেয়। খবর পাওয়ার পরই কলসের জঙ্গলে গোপালের খোঁজ চালাচ্ছেন বনকর্মীর। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর খোঁজ মেলেনি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ১০ জুন সোমবার বিকেলে পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে ৬ জনের একটি দল ছোট ভুটভুটিতে চেপে সুন্দরবনের কলসের জঙ্গলে জগদ্দল নদীতে কাঁকড়া ধরতে যান। সেই দলে ছিলেন গোপালও। শুক্রবার দুপুর একটা নাগাদ তাঁরা কলস জঙ্গল সংলগ্ন জগদ্দল নদীতে কাঁকড়া ধরছিলেন।
সেই সময় একটি বাঘ হঠাৎ পিছন দিক থেকে গোপালের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁর ঘাড় কামড়ে ধরে টানতে টানতে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। সঙ্গীরা বাঘের মুখ থেকে গোপালকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও তাঁরা বাঘের কবল থেকে গোপালকে উদ্ধার করতে পারেননি।
স্ত্রী এবং তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে গোপালের অভাবের সংসার। হতদরিদ্র পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন গোপাল। সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলের নদী ও খাঁড়ি থেকে কাঁকড়া মাছ ধরে এনে বিক্রি করার পর যা আসত, সেটুকু টাকায় চলত সংসার। আচমকা বাঘের খপ্পরে পড়ে গোপালের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় আতান্তরে পড়েছে গোটা পরিবার। কান্নায় ভেঙে পড়েন বাসুদেবের স্ত্রী পার্বতী মল্লিক।
তিনি বলেন, ‘জানি না ও কেমন আছে। সকলের চোখের সামন থেকে আচমকা বাঘ ওকে তুলে নিয়ে যাবে, ভাবতেই পারছি না। ও বেঁচে না ফিরলে আমাদের সব শেষ হয়ে যাবে।’