এই সময়, আরামবাগ: দিন কয়েক আগে এক সহকারী প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তাঁর চাকরির কোনও বৈধ কাগজপত্র নেই। অথচ ২৭ বছর ধরে তিনি স্কুলে চাকরি করছেন। এই নিয়ে এক তৃণমূল নেতা আরটিআই করেছিলেন। গোঘাটের এক সময়ের দাপুটে সিপিএম নেতার বোন ওই শিক্ষিকার দাবি, তিনি সরকারি কাগজপত্রের মাধ্যমেই চাকরি পেয়েছিলেন।কিন্তু তখন কোনও সরকারি কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। স্কুল কর্তৃপক্ষও কোনও সরকারি কাগজপত্র পাননি বলে জানিয়েছিলেন। এ বার ওই শিক্ষিকা ২৭ বছর আগে চাকরি পাওয়ার কাগজ জমা দিলেন স্কুলে। গোঘাট হাইস্কুলের বর্তমান সহকারী প্রধান শিক্ষিকা অনিতা মণ্ডল। তিনি কী ভাবে চাকরি পেলেন—এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল নেতা শেখ মিয়াজুল।
১৯৯৭ সালে অনিতা এই স্কুলে ভূগোলের শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন। প্রশ্ন উঠেছে, অনিতা এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ থেকে কোনও কল পাননি। সিপিএম নেতার বোন হিসেবে তিনি চিরকুটে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল। অনিতার দাবি, ‘আমি কলকাতা হাইকোর্ট থেকে আবেদনের মাধ্যমে ইন্টারভিউয়ে বসার যোগ্যতা অর্জন করেছিলাম। প্রমাণপত্র স্কুলে দিয়েছি। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তা না দেখাতে পারলে তার দায় আমার নয়।’
১৯৯৭ সালে অনিতা এই স্কুলে ভূগোলের শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন। প্রশ্ন উঠেছে, অনিতা এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ থেকে কোনও কল পাননি। সিপিএম নেতার বোন হিসেবে তিনি চিরকুটে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল। অনিতার দাবি, ‘আমি কলকাতা হাইকোর্ট থেকে আবেদনের মাধ্যমে ইন্টারভিউয়ে বসার যোগ্যতা অর্জন করেছিলাম। প্রমাণপত্র স্কুলে দিয়েছি। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তা না দেখাতে পারলে তার দায় আমার নয়।’
প্রধান শিক্ষক তরুণ কোনার বলেন, ‘আমার কাছে কোনও নথি ছিল না। উনি একটা কাগজ জমা দিয়েছেন। কিন্তু সেখানে স্কুলের নাম উল্লেখ নেই। তাই এই কাগজ আইনি ভাবে খতিয়ে দেখা হবে।’ পরিচালন সমিতির সভাপতি নারায়ণ পাঁজা বলেন, ‘ওই কাগজ আইনি ভাবে দেখা হবে। যিনি আরটিআই করেছিলেন, তার কাছেও আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি।’
আরটিআই করেছিলেন আরামবাগের তৃণমূল নেতা শেখ মিয়াজুল। তিনি বলেন, ‘সবটাই আইনি ভাবে বিচার হবে।’