রবিবার কোচবিহার রবীন্দ্রভবনে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলার ১২ টি ব্লকের জেলা নেতৃত্ব ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি ও বাছাই করা নেতাদের নিয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘বিভীষণ না থাকলে রাবন পরাজিত হত না। তাই বিভীষণদের অবশ্যই চিহ্নিত করতে হবে। শহরগুলোতে যেখানে খারাপ ফল হয়েছে, সেই এলাকার শহর, ব্লক সভাপতিকে যেমন দায়িত্ব নিতে হবে তেমনই পুরসভার চেয়ারম্যানকেও দায়িত্ব নিতে হবে।’
ভোট পরবর্তী সময়ে ‘আক্রান্ত’ বিজেপি কর্মীদের নিয়ে রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ প্রসঙ্গে উদয়ন গুহ বলেন, ‘ওঁর যেখানে ইচ্ছা সেখানে যাক। এতে আমাদের কিছু বলার নেই।’ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের মন্তব্যে সায় দিয়ে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকও বলেন, ‘ইতিমধ্যে দল বিরোধীদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। বেশ কিছু নাম উঠে এসেছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পাশাপাশি অঞ্চল, ব্লক ও জেলা নেতাদের কাছেও রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট রাজ্যে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছিল কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে। বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস দাঁড় করিয়েছিল সিতাই বিধানসভার বিধায়ক জগদীশবর্মা বসুনিয়াকে। নিশীথকে ৩৯,২৫০ ভোটে হারিয়ে দেন জগদীশ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হারিয়ে এই কেন্দ্রে এবার বড় জয় পে তৃণমূল কংগ্রেস।