এই সময়: সরকারি বিজ্ঞপ্তি বাতিল হওয়ার পরে কেটে গিয়েছে বেশ ক’বছর। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকারা এখনও তাঁদের বকেয়া পাননি। রাজ্যের অর্থ, শিক্ষা সচিব-সহ শীর্ষকর্তাদের একাংশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল ইস্যু করেও সমস্যার সমাধান হয়নি। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বাড়ি ভাড়া (হাউস রেন্ট অ্যালাওয়েন্স বা এইচআরএ) বাবদ বকেয়া মেটানোর পাশাপাশি আদালত ৬ শতাংশ সুদ দেওয়ারও নির্দেশ দিল রাজ্য সরকারকে।গত ক’দিনে এমন ১৪ জনেরও বেশি মামলার ক্ষেত্রে চার সপ্তাহের মধ্যে এই সুদ-সহ বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আদালতের মৌখিক পর্যবেক্ষণ — সরকারি বিজ্ঞপ্তি বাতিল করেছে হাইকোর্ট। তার পরেও কী ভাবে টাকা বকেয়া রাখা হয়, তা বোধগম্য হচ্ছে না। ভবিষ্যতে এমন হলে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের ঘাড়ে কোপ পড়তে পারে বলেও ইঙ্গিত আদালতের।
২০১২ সালে রাজ্য একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং অন্যজন সরকার পোষিত বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকা হলে, এঁদের মধ্যে কোনও একজনই বাড়ি ভাড়া বাবদ অ্যালাওয়েন্স পাবেন। কিন্তু সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি ২০২১ সালে খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
২০১২ সালে রাজ্য একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং অন্যজন সরকার পোষিত বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকা হলে, এঁদের মধ্যে কোনও একজনই বাড়ি ভাড়া বাবদ অ্যালাওয়েন্স পাবেন। কিন্তু সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি ২০২১ সালে খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
বিচারপতি শেখর ববি শরাফের আদালত দ্রুত বকেয়া মেটানোর নির্দেশও দিয়েছিল। কিছু জেলায় নির্দেশ আংশিক কার্যকর হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বকেয়া মেটানো হয়নি জানিয়ে গত বছর আদালত অবমাননার মামলা হয়। সেই মামলাতেই রাজ্যের শিক্ষা, অর্থ সচিব-সহ বেশ ক’জন শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে রুল ইস্যু করে হাইকোর্ট। আদালতে হাজির হয়ে বকেয়া মেটানোর প্রতিশ্রুতিও দেন ওই অফিসাররা।
তারপরেও পরিস্থিতির পরিবর্তন না-হওয়ায় নতুন করে গুচ্ছ মামলা হয় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। মামলাগুলির আইনজীবী দেবযানী সেনগুপ্ত এবং কোয়েল বাগ জানান, ২০১২ সালে দেওয়া সরকারের বিজ্ঞপ্তি ২০২১-এ বাতিল হওয়ার পরেও শিক্ষকরা বকেয়া পাচ্ছেন না। যার জেরে ২০১২-র পর থেকে কারও ১০ বা কারও পাঁচ, কারও বা দু’বছর ধরে বকেয়া থেকে গিয়েছে।