বিধানসভা ভোটে মধুপর্ণার বিরুদ্ধে প্রার্থী বিনয় হলেও সেখানে বিজেপির ক্ষেত্রে ফ্যাক্টর যে শান্তনু ঠাকুর, তা মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এদিকে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হতেই বিনয় সোজা গিয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। বারবার তাঁর কণ্ঠে শোনা গিয়েছে তিনি ‘ভূমিপুত্র’। পরিবারের অনেকেই ‘সেই ভূমে’ বাস করে, এই দাবি করে নিজেকে ‘ঘরের ছেলে’ প্রমাণ করতে মরিয়া বিনয়? মধুপর্ণার অবশ্য দাবি, বিনয়ের কথায় সত্যতা নেই।
তিনি বলেন, ‘লড়াই করতে নেমেছি। প্রতিপক্ষ তো থাকবেই। আমার লক্ষ্য বাগদাবাসীর সেবা করা। আমি তো জানি বিনয় আকাইপুরের লোক। মানুষকে ভুল বোঝানো যাবে না।’ রাজনীতিতে আনকোরা হলেও ছোট থেকে ঠাকুরবাড়িতে বেড়ে ওঠা মধুপর্ণার। সম্প্রতি কয়েকটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে মা মমতাবালা ঠাকুরের সঙ্গে থেকেছেন তিনি। কাছ থেকে দেখেছেন রাজনৈতিক পরিসর, লড়াই, বাকযুদ্ধ, ভোটযুদ্ধ।
অন্যদিকে, বিনয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘দল যাঁকে টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর হয়ে ময়দানে নামব এবং জেতানোর চেষ্টা করব। সকলেই আমার কার্যকর্তা। সকলের প্রত্যাশা থাকে টিকিট পাওয়ার। দল যাঁকে ভালো বুঝেছে তাঁকে টিকিট দিয়েছে।’ মধুপর্ণা সম্পর্কে তাঁর বোন। সেক্ষেত্রে বোনের সঙ্গে দলীয় প্রার্থীর লড়াই, রাজনীতির ময়দানে এই লড়াইয়ে তাঁর ভূমিকা কী হবে?
এই প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘লড়াইটা তৃণমূল বনাম বিজেপি। ব্যক্তিগত কোনও কিছুই গ্রাহ্য নয়।’ বিনয় বলেন, ‘বাগদা আমার খুব পছন্দের জায়গা। আমার পুরনো বাড়ি নাটাবাড়ি। সেখানে পরিবারের অনেকে রয়েছেন। আমি বাগদার ভূমিপুত্র। বাইরের নই।’

 
                    