প্রার্থীর নাম ঘোষণা করার পরপরই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘মানিকতলায় কল্যাণ চৌবে ভট্টাচার্য নামে একজন প্রার্থী হয়েছেন। আমরা তো এতদিন জানতাম কল্যাণ চৌবে, এখন তার সঙ্গে দেখলাম ভট্টাচার্য রয়েছে! মহিলাদের বিয়ে হলে অনেকে নতুন পদবি যোগ করেন। কল্যাণ কী করেছেন জানি না! ভোটার তালিকায় ওঁর নাম আর প্রেস রিলিজ়ের নাম একই কি না, তাও জানি না।’
যদিও কল্যাণ জানিয়েছেন, ‘প্রেস বিবৃতিতে কোনও ভুল নেই। আমার পুরো নাম কল্যাণ চৌবে ভট্টাচার্য। আমার মায়ের পদবি ভট্টাচার্য। নারীশক্তিকে সম্মান জানিয়ে অনেকেই এখন তাঁদের পদবিতে মায়ের পদবিও যুক্ত করছেন। আমিও তাই করেছি।’ যদিও ফুটবলার মহলেও তিনি কল্যাণ চৌবে নামেই পরিচিত। এদিন পদবিতে ‘ভট্টাচার্য’ দেখে তাই অনেকেই অবাক হয়েছেন।
এই উপনির্বাচনে রায়গঞ্জের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন মানসকুমার ঘোষ, রানাঘাট দক্ষিণে মনোজকুমার বিশ্বাস এবং বাগদায় বিনয়কুমার বিশ্বাস। ঠাকুরনগরের মতুয়া ঠাকুরবাড়ির কোনও সদস্যকে বাগদায় প্রার্থী করা হতে পারে বলে গেরুয়া শিবিরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও বিজেপির একাংশ এর প্রবল বিরোধিতাও শুরু করেছিল।
গত শনিবার রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকে ঠিক হওয়া চার কেন্দ্রের জন্য ১২ জন প্রার্থীর খসড়া নামের তালিকা দিল্লিতে পাঠানো হয়। সেই তালিকা থেকেই বিজেপির পুরোনো নেতাদেরই এই উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে মানিকতলা বিধানসভায় তৃণমূলের লিড থাকলেও বাকি তিনটি কেন্দ্রে বিজেপির লিড রয়েছে।
বিজেপি সেই লিড ধরে রেখে উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার ছক তৈরি করলেও তৃণমূল চারে চার করতে মানিকতলায় প্রয়াত সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে, বাগদায় ঠাকুর পরিবারের মধুপর্ণা ঠাকুর, রায়গঞ্জ ও রাণাঘাট দক্ষিণে পদ্ম শিবিরের দুই প্রাক্তনী কৃষ্ণ কল্যাণী ও মুকুটমণি অধিকারীকে প্রার্থী করেছে।
কুণালের বক্তব্য, ‘যে চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে, সেই চারটি কেন্দ্রেই তৃণমূল জয়ী হবে। এই এলাকাগুলি থেকে তৃণমূলের বিধায়ক বিধানসভায় গেলে উন্নয়নের কাজ মসৃণ ভাবে চলবে, এটা মানুষ বোঝেন। তাই তাঁরা তৃণমূলকেই ভোট দেবেন।’
যদিও বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, ‘এই উপনির্বাচনে তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধেই মানুষ রায় দেবে। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ২৯টি আসন পেয়ে ৩২৯টি আসন পেয়েছে ভেবে যে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে, মানুষ তার বিরুদ্ধে ভোট দেবেন।’