আষাঢ় মানেই ইলিশ ধরার মরশুম ৷ ইলশেগুড়ি বৃষ্টি আর পূবালি হাওয়ায় এবার ভালো ইলিশ পাওয়া যাবে বলেই আশা ছিল সকলের ৷ কর্মচারীদের বেতন দিয়ে জ্বালানি যন্ত্রণা (ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধি) সহ্য করে শুধুমাত্র ইলিশের আশাতেই সমুদ্রে লঞ্চ-ট্রলার ভাসিয়েছিলেন মালিকরা ৷ কিন্তু, সেভাবে ইলিশ না পাওয়ায় হতাশ তাঁরা ৷
ফিশিং লঞ্চের মালিক স্বরুপ দাস অধিকারী জানান, বিগত বছরগুলোতে এই সময়ে টন টন ইলিশ দেশ-বিদেশের বাজারে সরবরাহ করা হত ৷ আবহাওয়ার কারণে এবছর তেমন ইলিশের দেখা নেই। আমরা খুব চিন্তায় আছি। কবে বৃষ্টি নামবে আর জালে ধরা পড়বে ইলিশ সেই অপেক্ষায় রয়েছি।
আড়তদার স্বদেশ রঞ্জন নায়ক বলেন, ‘প্রতি বছর দিঘার মোহনা থেকে প্রায় ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা আয় হয় ইলিশ বিক্রি করা হয় ৷ এ বছর এখনও ইলিশের দেখা নেই৷ ইলিশ ধরার জাল যারা তৈরি করেছেন, তাঁরা প্রচুর লোকসানে পড়েছেন ৷ ডিজ়েলের দাম, জাল ও কর্মীদের দাম যে হারে বেড়েছে তাতে সবার বেতন ও খাওয়া খরচ দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ৷’
জেলা মৎস্য আধিকারিক সুমন সাউয়ের কথায়, চলতি মরশুমে যেভাবে তাপমাত্রার পারদ বাড়ছে তাতে সমুদ্র ও নদীর জল গরম হয়ে রয়েছে। ফলে ইলিশ মাছ উপরের দিকে না আসায় মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ছে না। বৃষ্টি নামলে নদী ও সমুদ্রের জল ঠান্ডা হলে আশাকরা যায় ইলিশের দেখা মিলবে।
