Digha Sea Beach,ইলিশ কোথায়? দেখা নেই রুপোলি শস্যের, হতাশ দিঘার মৎস্যজীবীরা – fisherman upset for not having good hilsa fish at digha sea beach


বর্ষাও এল না, এল না ভালো ইলিশও। জুনের মাঝামাঝিতে এসেও ভালো রুপোলি শস্যের সন্ধান না মেলায় হতাশ দিঘার মৎস্যজীবী থেকে ট্রলার মালিকরা। দুই থেকে আড়াই হাজার লঞ্চ নিয়ে সমুদ্রে পাড়ি দিলেও জালে উঠছে না চাহিদা মতো ইলিশ। ঝমঝমিয়ের বৃষ্টির পরেই কি দেখা দেবেন তারা? আশায় বুক বাঁধছেন মৎস্যজীবীরা।গত বছরের মতো এবারও দিঘায় সেভাবে দেখা নেই ইলিশের ৷ দক্ষিণবঙ্গে এখনও সেভাবে বৃষ্টি হয়নি ৷ তাই দেখা মিলছে না ইলিশেরও ৷ জালে ইলিশ না ওঠার জন্য আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনাকেই দুষছেন মৎস্যজীবীরা ৷ ইলিশ সেভাবে না ওঠায় চিন্তায় মৎস্যজীবী থেকে ইলিশপ্রেমী মানুষজন। ব্যান্ড পিরিয়ড কাটার পর অনেক আশা নিয়ে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল মৎস্যজীবীরা ৷ নাওয়া-খাওয়া ভুলে এখন একটাই লক্ষ্য তাঁদের ৷ কিন্তু, প্রতিবারই হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে ৷ গত বছরের মতো এবারও দিঘায় সেভাবে দেখা নেই ইলিশের ৷ প্রতিদিন প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার লঞ্চ-ট্রলার ও ভুটভুটি সমুদ্রে নামছে ৷ কিন্তু, যার জন্য এত কিছু, তারই দেখা নেই সেভাবে ৷ লাভের চেয়ে লোকসানই বেশি বলে জানাচ্ছেন মৎসজীবীরা ৷

আষাঢ় মানেই ইলিশ ধরার মরশুম ৷ ইলশেগুড়ি বৃষ্টি আর পূবালি হাওয়ায় এবার ভালো ইলিশ পাওয়া যাবে বলেই আশা ছিল সকলের ৷ কর্মচারীদের বেতন দিয়ে জ্বালানি যন্ত্রণা (ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধি) সহ্য করে শুধুমাত্র ইলিশের আশাতেই সমুদ্রে লঞ্চ-ট্রলার ভাসিয়েছিলেন মালিকরা ৷ কিন্তু, সেভাবে ইলিশ না পাওয়ায় হতাশ তাঁরা ৷

Jamai Sasthi 2024 Hilsa Fish : মন্দার বাজারে ভাত-ইলিশে এবার কি হবে জামাইদের ভুরিভোজ?

ফিশিং লঞ্চের মালিক স্বরুপ দাস অধিকারী জানান, বিগত বছরগুলোতে এই সময়ে টন টন ইলিশ দেশ-বিদেশের বাজারে সরবরাহ করা হত ৷ আবহাওয়ার কারণে এবছর তেমন ইলিশের দেখা নেই। আমরা খুব চিন্তায় আছি। কবে বৃষ্টি নামবে আর জালে ধরা পড়বে ইলিশ সেই অপেক্ষায় রয়েছি।

দিঘায় হোটেল বুকিংয়ে সমস্যা, এজেন্টদের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত? অভিযোগ জানাবেন কোথায়?
আড়তদার স্বদেশ রঞ্জন নায়ক বলেন, ‘প্রতি বছর দিঘার মোহনা থেকে প্রায় ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা আয় হয় ইলিশ বিক্রি করা হয় ৷ এ বছর এখনও ইলিশের দেখা নেই৷ ইলিশ ধরার জাল যারা তৈরি করেছেন, তাঁরা প্রচুর লোকসানে পড়েছেন ৷ ডিজ়েলের দাম, জাল ও কর্মীদের দাম যে হারে বেড়েছে তাতে সবার বেতন ও খাওয়া খরচ দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ৷’
জেলা মৎস্য আধিকারিক সুমন সাউয়ের কথায়, চলতি মরশুমে যেভাবে তাপমাত্রার পারদ বাড়ছে তাতে সমুদ্র ও নদীর জল গরম হয়ে রয়েছে। ফলে ইলিশ মাছ উপরের দিকে না আসায় মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ছে না। বৃষ্টি নামলে নদী ও সমুদ্রের জল ঠান্ডা হলে আশাকরা যায় ইলিশের দেখা মিলবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *