খবর পেয়ে তাঁর পরিচিতরা ভিড় জমান। সকলের একটাই কথা, ওরকম চনমনে লোকটা এ ভাবে মারা গেল! রেলকর্মী বাবার মৃত্যুর পরে আশিস চাকরি পান। বাড়িতে স্ত্রী এবং কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আছে। পাড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান করতেন। খেলাধুলাতেও উৎসাহ ছিল। এমন একজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া।
শিলিগুড়ির ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তাপস রায়চৌধুরী বলেন, ‘আমার ওয়ার্ড কমিটিতেও ছিলেন আশিস। এমন একটা লোকের মৃত্যু পাড়ায় তো বটেই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের রেলকর্মীরাও মেনে নিতে পারছেন না।’ অনেকের চোখেমুখে বিস্ময়। কেউ বলছেন, ‘ রবিবার সকালেই তো দেখা হতেই হাসি বিনিময় হলো আশিসদার সঙ্গে।’
আশিসের স্ত্রী দীপিকা দে বলেন, ‘বহুদিন পর রবিবার রাতে অনেক গান শুনিয়েছিলেন। আজ সব শেষ!’ শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘আশিস আমাদের শিলিগুড়ির ছেলে। ওঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে খুবই খারাপ লাগছে।’ পাড়ার মতোই নিজের কর্মক্ষেত্রেও সমান জনপ্রিয় ছিলেন আশিসবাবু। এনএফ রেলওয়ে এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের এনজেপি শাখার যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।
এ দিন ডিউটি অফ হওয়ার কথা ছিল মালদা টাউন স্টেশনে। সন্ধ্যায় তাঁর আড্ডা দেওয়ার কথা সংগঠনের মালদা শাখার সেক্রেটারি কৌশিক চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। মালদা শহরের মহানন্দা পল্লির ফ্ল্যাটে বসে কৌশিকবাবু বললেন, ‘সংগঠনের কাজে নিবেদিত প্রাণ। বিশেষ করে ট্রেনের রানিং স্টাফদের সমস্যা নিয়ে লড়াই আন্দোলনে সব সময় সামনে থাকতেন। তাঁর মৃত্যুতে এনএফ রেলওয়ে কাটিহার ডিভিশন আজ ব্ল্যাক-ডে পালন করেছে।’