Kanchanjunga Express : ডিউটি বদলে মৃত্যুর কোলে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ‘গার্ড’ – kanchanjunga express guard lost life after changing duty


এই সময়: অনেকদিন পরে রবিবার, শিলিগুড়ির সুকান্তপল্লির বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে গল্প করেছেন বছর সাতচল্লিশের আশিস দে। স্ত্রী দীপিকাকে গানও শুনিয়েছেন। প্রেমের গান। ভালোবাসার গান। এ দিন উত্তরবঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সূত্রের খবর, তাঁর ডিউটি ছিল শতাব্দী এক্সপ্রেসে। বিশেষ প্রয়োজনে বন্ধুকে ফোন করে তিনি ডিউটি বদলে নেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে।সোমবার সকালে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড হয়ে ট্রেনে ওঠেন তিনি। সেই ডিউটিই যে তাঁর মৃত্যু ডেকে আনবে একবারের জন্যও ভাবতে পারেনি পরিবার। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনেই ছিল গার্ডের কামরা। মালগাড়ির ধাক্কায় সেই কামরা কার্যত উড়ে যায়। উদ্ধারের পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর মৃতদেহ।

খবর পেয়ে তাঁর পরিচিতরা ভিড় জমান। সকলের একটাই কথা, ওরকম চনমনে লোকটা এ ভাবে মারা গেল! রেলকর্মী বাবার মৃত্যুর পরে আশিস চাকরি পান। বাড়িতে স্ত্রী এবং কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আছে। পাড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান করতেন। খেলাধুলাতেও উৎসাহ ছিল। এমন একজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া।

শিলিগুড়ির ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তাপস রায়চৌধুরী বলেন, ‘আমার ওয়ার্ড কমিটিতেও ছিলেন আশিস। এমন একটা লোকের মৃত্যু পাড়ায় তো বটেই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের রেলকর্মীরাও মেনে নিতে পারছেন না।’ অনেকের চোখেমুখে বিস্ময়। কেউ বলছেন, ‘ রবিবার সকালেই তো দেখা হতেই হাসি বিনিময় হলো আশিসদার সঙ্গে।’

Kanchanjungha Express Accident Highlights: তাড়াতাড়ি ফেরা হল না, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে বেঘোরে প্রাণ গেল তরুণ আবগারি এসআই-এর

আশিসের স্ত্রী দীপিকা দে বলেন, ‘বহুদিন পর রবিবার রাতে অনেক গান শুনিয়েছিলেন। আজ সব শেষ!’ শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘আশিস আমাদের শিলিগুড়ির ছেলে। ওঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে খুবই খারাপ লাগছে।’ পাড়ার মতোই নিজের কর্মক্ষেত্রেও সমান জনপ্রিয় ছিলেন আশিসবাবু। এনএফ রেলওয়ে এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের এনজেপি শাখার যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।

এ দিন ডিউটি অফ হওয়ার কথা ছিল মালদা টাউন স্টেশনে। সন্ধ্যায় তাঁর আড্ডা দেওয়ার কথা সংগঠনের মালদা শাখার সেক্রেটারি কৌশিক চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। মালদা শহরের মহানন্দা পল্লির ফ্ল্যাটে বসে কৌশিকবাবু বললেন, ‘সংগঠনের কাজে নিবেদিত প্রাণ। বিশেষ করে ট্রেনের রানিং স্টাফদের সমস্যা নিয়ে লড়াই আন্দোলনে সব সময় সামনে থাকতেন। তাঁর মৃত্যুতে এনএফ রেলওয়ে কাটিহার ডিভিশন আজ ব্ল্যাক-ডে পালন করেছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *