এই সময়: সাড়ে আটটার কিছুক্ষণ আগেই ফোনটা এসেছিল বাড়িতে। তিনি তখন ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে। ফোনে বাড়ির লোকেদের বলেছিলেন, প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। একটু পরে ফোন করবেন এমনটাও বলেছিলেন। শঙ্করমোহন দাস (৬২)-এর বাড়ির লোকেরা সেই ফোনের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই কল আর আসেনি।অন্যদিকে, বালিগঞ্জের জামির লেনের ঘুপচি ঘরেও যে ফোনটা শেষ পর্যন্ত এসেছিল, তাও খুব সুখের খবর বয়ে আনেনি। বাড়ির কর্তা শুভজিৎ মালি (৩২)-এর মৃত্যু সংবাদ পৌঁছেছিল সেই কলে। মেয়ের জন্মদিন পালন করতে কলকাতায় আসছিলেন শুভজিৎ। সোমবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কলকাতার এই দুই বাসিন্দার।
শঙ্করমোহনের বাড়ি কাঁকুরগাছিতে। আরএমএস ডিপার্টমেন্টের কর্মী ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের পার্সেল ভ্যানে ডিউটি ছিল তাঁর। মালগাড়ির ধাক্কায় এই কামরাটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। সাড়ে আটটায় ফোন কাটার পরে দীর্ঘক্ষণ তাঁর ফোন না আসায় বাড়ির লোকেরা বারবার ফোন করছিলেন তাঁকে। কিন্তু পাননি। পরে দুর্ঘটনার খবর পান তাঁরা।
শঙ্করমোহনের বাড়ি কাঁকুরগাছিতে। আরএমএস ডিপার্টমেন্টের কর্মী ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের পার্সেল ভ্যানে ডিউটি ছিল তাঁর। মালগাড়ির ধাক্কায় এই কামরাটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। সাড়ে আটটায় ফোন কাটার পরে দীর্ঘক্ষণ তাঁর ফোন না আসায় বাড়ির লোকেরা বারবার ফোন করছিলেন তাঁকে। কিন্তু পাননি। পরে দুর্ঘটনার খবর পান তাঁরা।
শেষে সাড়ে ১০টা নাগাদ পরিবারের লোকেরা শিয়ালদহ স্টেশনে অনুসন্ধান কেন্দ্রে এসে যোগাযোগ করেন। দুপুরের পরে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে বাড়িতে। বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও রয়েছে দুই ছেলে। এদিন রাতে তাঁর বাড়িতে যান বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
অন্যদিকে, বালিগঞ্জের শুভজিৎ পেশায় গাড়ির চালক। একটি গাড়ি পৌঁছে দিতে শিলিগুড়ি গিয়েছিলেন। সেখানে কিছুদিন থাকার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু মেয়ের জন্মদিন ছিল সোমবার। সে জন্যই এদিন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে সওয়ার হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সোমবার দিন ফুরিয়ে সন্ধ্যা নামার আগেই তাঁর মৃত্যুর খবরে কার্যত রাত নামে শুভজিতের জামির লেনের বাড়িতে।