এক্ষেত্রে টোটোচালকদের অনেকেরই দাবি, কিউআর কোডের জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন। তবে এখনও মেলেনি কিউআর কোড। অনেকে আবার টোটো ইউনিয়নের লোগো লাগিয়ে তা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছেন। এক্ষেত্রে বারাসাত টোটো ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা তাপস দাশগুপ্ত জানান, ইউনিয়নের তরফ থেকে কোনওরকম অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় না। কিউআর কোড-এর জন্য আবেদন জমা পড়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই কিউআর কোডও পাবেন নতুন টোটো চালকরা।
এদিকে বারাসতের মোটর ভেহিকেলস ইনসপেক্টর প্রমিত সরকার বলেন, ‘অনেকদিন ধরেই উচ্চতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই অভিযান চলছে। বারাসত পুরসভার তরফে কিউআর কোড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেক টোটোই আছে কিউআর কোড ছাড়া রাস্তায় চলছে। কিউআর কোডে নির্দিষ্ট রুট দেওয়া থাকে যে কোন টোটো কোন রুটে চলাচল করবে। এই গাড়িগুলিতে কিউআর কোড নেই। পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে অভিযান চলছে।’ কিউআর কোড ছাড়া কোনও টোটো যাতে বড় রাস্তায় না ওঠে সেই বার্তা দিতেই এই অভিযান বলেও জানান মোটর ভেহিকেলসের ইনসপেক্টর।
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন শহরে টোটোর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে। যার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপও করেছে প্রশাসন। অনেক জায়গাতেই এই ধরণের কোড বা নম্বর চালুর মধ্যে দিয়ে টোটোর রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। আর তেমনই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবার বারাসতে চলল কিউআর কোড বিহীন টোটোর বিরুদ্ধে অভিযান।