Devotees Are Gathered At Bankura Service Kali Mandir Regularly For Job


পড়াশোনা শেষ করে পড়াশোনা চালানোর পাশাপাশি অনেকেই সরকারি চাকরির চেষ্টা করেন। যদিও সরকারি চাকরি তো আর মুখে কথা নয়। তার জন্য করতে হয় কঠোর পরিশ্রম। লাগে চরম অধ্যাবসায়। আবার যোগ্য হয়েও অনেক সময় মেলে না কাঙ্খিত চাকরি। কারণ বিভিন্ন সময়েই নিয়োগে ক্ষেত্রে উঠেছে বেনিয়াম বা দুর্নীতির অভিযোগ। যদিও অনেকেরই বিশ্বাস, নিজের চেষ্টার পাশাপাশি অন্তর থেকে ডাকলে মনোবাসনা পূরণ করেন বাঁকুড়ার সোনামুখীর ‘সার্ভিস কালী মা’। আর মায়ের মহিমার কথা ছড়িয়েও পড়েছে দিকে দিকে। তাই শুধু স্থানীয়রাই নন, চাকরি ব্যবসা বা অন্য যে কোনও মনের ইচ্ছা নিয়েই মায়ের কাছে ছুটে আসেন ভক্তরা।জেলা সদর বাঁকুড়া থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে সোনামুখীতে এই সার্ভিস কালী মায়ের মন্দির। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবীর কাছে মন থেকে প্রার্থনা করলে ‘চাকরি নিশ্চিত’। আর তাই বছরভর চাকরির আশায় এই মন্দিরে অসংখ্য ভক্তের ভিড় লেগেই থাকে। তাঁদের আরও বিশ্বাস, মন্দিরের মা খুবই জাগ্রত। তাই প্রত্যেকেই মায়ের কাছে নিজের মনের বাসনার কথা জানান। আর মনোবাসনা পূর্ণ হলে সামর্থ্য মতো উপহার সহ পুজো দিয়ে যান দেবীকে।

কী ভাবে হল মায়ের এমন নামকরণ?

এই বিষয়ে দেবাশিস চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘কেউ মন থেকে মায়ের কাছে প্রার্থনা জানালে তা পূরণ হয়। একজন চাকরির জন্য মায়ের কাছে মানত করে গিয়েছিলেন। তাঁর চাকরি হয়েও গিয়েছিল। তখন থেকেই মায়ের নাম সার্ভিস কালী।’

মন্দিরের পুরোহিতের কথায়, ‘ভক্তিভরে ডাকলে মা সাড়া দেবেন। সংসারে থেকেও মাকে ডাকা যায়। এখানে কোনও মাদুলি বা কবজ দেওয়া হয় না। শুধু মায়ের পুজোর ফুল বেলপাতা দিই, তাতেই মানুষের কাজ হয়। কর্মসংস্থান, সংসারের অশান্তি থেকে মুক্তি, সন্তানলাভ সহ বিভিন্ন কারণে আসেন ভক্তরা। মা উদ্ধার করেন।’

ইতিমধ্যেই মায়ের নাম ছড়িয়ে পড়েছে বহু দূরদূরান্তে। আর সেই মতো ছুটে আসছেন ভক্তরাও। বজবজের বাসিন্দা সৌভিক সেন নামে এক ভক্ত বলেন, ‘আমি কেন্দ্রীয় সরকারি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেই জন্যই মায়ের কাছে প্রার্থনা করা। পড়াশোনা তো করতেই হবে। তার সঙ্গে মায়ের আশীর্বাদও পেতে এসেছি।’ শুধু বজবজ নয়, রাজ্যে বিভিন্ন জেলা, এমনকী ভিনরাজ্য থেকেও ভক্তরা মায়ের কাছে ছুটে আসছেন। প্রার্থনা একটাই, ‘মনোবাসনা পূর্ণ কর মা।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *