EVM কারচুপি: বাংলায় আবেদন করল না কেউই – no one political party claimed evm rigging in west bengal


সুগত বন্দ্যোপাধ্যায়
লোকসভা ভোট মিটে যাওয়ার পরেও ইভিএমে কারচুপি করা যায় কি না, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে ইলন মাস্কের বক্তব্য ঘিরে। যে সম্ভাবনার কথা খারিজ করে কড়া বিবৃতি দিয়েছে কেন্দ্র। শুধু মাস্কই বা কেন, এবারের ভোটের আগে ইভিএমে গরমিলের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল কংগ্রেস-তৃণমূলের মতো বিরোধী দলগুলি। ভোট মিটে যাওয়ার পরেও বাংলায় কিছু জায়গায় রেজ়াল্টে জোর করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।আবার বঙ্গ-বিজেপিও কিছু জায়গায় রেজ়াল্টে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বাংলায় এখনও কোনও রাজনৈতিক দলই ইভিএমে প্রযুক্তিগত জালিয়াতি বা কারচুপির অভিযোগ তুলে রেজ়াল্ট চ্যালেঞ্জ করেনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এবারেই প্রথম কোনও কেন্দ্রের ৫ শতাংশ ইভিএম-এর মাইক্রোকন্ট্রোলারের (যার মাধ্যমে ভিভিপ্যাট স্লিপ মেলে) ‘বার্নট মেমরি’ পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।

কোনও লোকসভা কেন্দ্রের দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থানাধিকারী প্রার্থী গণনা শেষের সাতদিনের মধ্যে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারত। প্রতিটি ইভিএম পরীক্ষার জন্য খরচ দিতে হবে ৪০ হাজার টাকা, সঙ্গে ১৮ শতাংশ জিএসটি। অর্থাৎ প্রতিটি ইভিএম পরীক্ষার জন্য খরচ পড়বে ৪৭ হাজার ২০০ টাকা। যেখানে ইভিএম প্রস্তুতকারক সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার বা বিশেষজ্ঞরা এই পরীক্ষা করতে পারবেন।

যতগুলি ইভিএম পরীক্ষা করা হবে, সেই অনুযায়ী টাকা জমা দিতে হবে। ইভিএমে কোনও কারচুপি হয়েছে, পরীক্ষায় প্রমাণ হলে সেই টাকা ফেরত পাবে আবেদনকারী। না হলে সেই টাকা কমিশন ফেরত দেবে না। তবে নির্বাচন কমিশনের তরফে পশ্চিমবঙ্গের অতিরিক্ত নির্বাচন আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত একজনও আবেদন করেননি।’

Nisith Pramanik : ‘গণনাকেন্দ্রে শতাধিক EVM বদল হয়েছে’, ফলপ্রকাশের ৮ দিন পর সাফাই নিশীথের

কমিশনের আধিকারিকদের বক্তব্য, লোকসভা ভোটের রেজ়াল্ট বেরিয়েছে ৪ জুন। হিসেব মতো ১২ জুনের মধ্যে আবেদন জানানোর কথা। তবে জেলা নির্বাচন আধিকারিকরা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের জেলার লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে কোনও প্রার্থী এই আবেদন জানাননি।

এমনিতে ভোট গণনার সময়ে প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রের পাঁচটি বুথে ইভিএম-এর ভোট আর ভিভিপ্যাটের স্লিপ মিলিয়ে যাচাইয়ের ব্যবস্থা কমিশন চালু রেখেছে। তারপরেও ইভিএমে ভোট নিয়ে বিরোধীদের সন্দেহ নিরসনে সুপ্রিম কোর্ট পরাজিত প্রার্থীর ক্রস-ভেরিফিকেশনের আবেদনের ক্ষেত্রে নতুন ব্যবস্থা কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছিল কমিশনকে। একই সঙ্গে ইভিএমে প্রার্থীর প্রতীক লাগানোর যন্ত্র বা সিম্বল লোডিং ইউনিট ৪৫ দিন সংরক্ষণ করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *