রাতের মেট্রোয় ভিড় কম
এই বিষয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, যাত্রীদের সুবিধার্থে গত ২৪ মে থেকে ব্লু লাইনে পরীক্ষামূলকভাবে বিশেষ রাত্রিকালীন মেট্রো পরিষেবা শুরু করা হয়। সোম থেকে শুক্রবার আপ এবং ডাউন, উভয় লাইনেই ওই পরিষেবা রাত ১১ টায় চালান হচ্ছে। কবি সুভাষ এবং দমদম স্টেশন থেকে ছাড়ছে মেট্রোগুলি। রাতের দিকে যাঁরা বাড়ি ফেরেন, এই পরিষেবার ফলে তাঁদের সুবিধা হবে এই আশা নিয়ে এটি শুরু করা হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে রাতের এই পরীক্ষামূলক পরিষেবাগুলিতে যাত্রীদের ভিড় তেমন হচ্ছে না।
আয় কম হচ্ছে
এক্ষেত্রে দমদম এবং কবি সুভাষের মধ্যে যাতায়াতকারী রাত ১১টার প্রতি মেট্রোতে গড়ে মাত্র ৩০০ জন যাত্রী হচ্ছে। কোনও কোনও কাউন্টার থেকে তো গড়ে ১টি বা ২টি টিকিট বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু পরিষেবাগুলি চালাতে মেট্রো রেলের খরচ হচ্ছে অনেক টাকাই। এক্ষেত্রে চালানোর খরচ হিসাবে প্রায় ২.৭ লাখ টাকা এবং অন্যান্য খরচ হিসাবে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। বিনিময়ে এই দুই পরিষেবা থেকে আয় হচ্ছে খুবই কম। গড়ে ৬ হাজার টাকা আয় হচ্ছে বলে জানাচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে এবার শেষ মেট্রোর সময় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কর্তৃপক্ষের তরফে।
টিকিট কাটায় নয়া নিয়ম
মেট্রো কর্তৃপক্ষ আরও জানাচ্ছে, আগামী ২৪ জুন থেকে নতুন সময়সূচিতে চলবে রাতের এই পরিষেবা। পরীক্ষামূলক এই মেট্রো চলবে সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত। প্রত্যেক স্টেশনেই দাঁড়াবে মেট্রোগুলি। তবে টিকিটের ক্ষেত্রে এবার নতুন নিয়ম আসছে। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এই মেট্রোর জন্য কোনও স্টেশনেই কাউন্টার খোলা থাকবে না। এক্ষেত্রে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে যাত্রীরা মেট্রোয় চড়তে পারবেন। আর নয়তো UPI পেমেন্ট মোড ব্যবহার করে সমস্ত স্টেশনে বসানো ASCRM মেশিন থেকে টোকেন নিতে হবে যাত্রীদের। তবে মেট্রোগুলি প্রতিটি স্টেশনেই দাঁড়াবে।