Post Poll Violence,ভোট পরবর্তী হিংসায় ৭ দিনে ১০৭ FIR, রিপোর্ট ডিজিপি-র – west bengal post poll violence 107 fir in 7 days says dgp report


এই সময়: লোকসভার ভোটের ফল ঘোষণার পরে ৬ জুন থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহে গোটা রাজ্যে হিংসার অভিযোগে ১০৭টি এফআইআর দায়ের হয়েছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে জানালো রাজ্য সরকার। ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় গরমের ছুটির মধ্যে বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চের গত ৬ জুনের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্য।গত ৬ জুন হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার ব্যক্তিরা রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ইমেল করে অভিযোগ জানাতে পারবেন। সেই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেয় আদালত। রাজ্যের জমা দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬ জুন থেকে ১২ জুনের মধ্যে ডিজির ইমেল আইডিতে ৫৬০টি অভিযোগ জমা পড়েছে।

তার মধ্যে ১০৭টি ক্ষেত্রে এফআইআর হয়েছে। ৯২টি অভিযোগের ক্ষেত্রে কগজ়িনেবল অফেন্স বা ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ পাওয়া যায়নি, ১১৪টি ক্ষেত্রে প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরে কোনও অপরাধ খুঁজে পাওয়া যায়নি, ১৮টি অভিযোগ ভোট পরবর্তী হিংসার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ৮৮টি অভিযোগ দু’বার করে দায়ের করা হয়েছে। ৩টি অভিযোগের ক্ষেত্রে অভিযোগকারীর কোনও ঠিকানা নেই। ১৩৮টি অভিযোগ এখনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারপরে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।

ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ সংক্রান্ত অন্য দু’টি মামলায় এদিন শুনানি হয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা নিয়ে বিতর্কে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী বলেন, ‘গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আদালত যদি মনে করে, রাজ্যে আরও কিছুদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার প্রয়োজন রয়েছে, তাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কোনও আপত্তি নেই।’

ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী করা উচিত এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নির্দিষ্টভাবে নিজেদের মতামত জানাতে হবে কেন্দ্র ও রাজ্যকে। তারপরে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে। এদিকে স্কুল ও কলেজ থেকে বাহিনী সরানোর আবেদন নিয়ে মামলায় নিজেদের কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি ট্যান্ডন এদিন বলেন, ‘রাজ্যের স্কুলগুলিতে বাহিনী রেখে কোনওভাবেই ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ক্ষতি করা যাবে না।’

Suvendu Adhikari: পদ্মের ঘরছাড়াদের নিয়ে ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু

বেঞ্চের স্পষ্ট বক্তব্য, কার কী এক্তিয়ার, এনিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্র টেকনিক্যাল প্রশ্ন তুলতে পারে। কোর্ট তার মধ্যে ঢুকবে না। তবে যেভাবে, যাদের দ্বারাই হোক, স্কুল থেকে বাহিনী সরাতে হবে। প্রয়োজনে রাজ্য ও কেন্দ্র দু’পক্ষ তাদের পরামর্শ দিতে পারে। তা নিয়ে পরের শুনানিতে আদালত বিবেচনা করবে। ২১ জুন দু’পক্ষকে জানাতে হবে সমাধানের পথ।✓

রাজ্যের তরফে জানানো হয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও ৯৫টি স্কুলে বাহিনী রয়েছে। তাদের অন্যত্র স্থানান্তর করা মুশকিল।✓বিচারপতি ট্যান্ডনের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বিকল্প জায়গার সন্ধান করতে হবে। কারণ শিক্ষা সবার আগে। কেন্দ্রের আইনজীবী জানান, রাজ্যের ১২৫টি স্কুল এবং ১০৭টি কলেজে বাহিনী আছে। মামলাকারীর আইনজীবীর সওয়াল, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সেনা ব্যারাকে এই বাহিনীকে স্থানান্তর করা হোক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *