Shakha Pola,কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, কমেছে মুনাফাও, ধুঁকছে বাঁটুল গ্রামের শাঁখা শিল্প – howrah bagnan bantul village shankha industry is now in bad phase


বাংলার বিভিন্ন জেলার ছড়িয়ে রয়েছে বহু কুটির শিল্প। আর সেই সমস্ত শিল্পের সঙ্গে জড়িত বহু মানুষ। অর্থাৎ বহু মানুষের রুজিরুটি নির্ভর করে এই ধরণের কুটির শিল্পগুলির উপরে। যদিও অনেক সময়ই বিভিন্ন ধরণের সমস্যার মধ্যে দিয়েও যেতে হয় কুটির শিল্পগুলিকে। কখনও কাঁচামালের অভাব, কখনও আবার দক্ষ কারিগরের অভাব, তো কখনও আবার তৈরি হওয়া সামগ্রী বাজারজাত করার ক্ষেত্রে সমস্যা। এই ধরণের নানা সমস্যার সম্মুখিন হতে হয় কুটির শিল্পকে। যেমন হাওড়ার বাগনানের বাঁটুল গ্রামের শাখা শিল্প।একটা সময় ছিল যখন হাওড়া জেলার বাগনানের বাঁটুল গ্রামের কয়েকশো পরিবার যুক্ত ছিল শঙ্খ শিল্পের সঙ্গে। বাড়ি বাড়ি তৈরি হত শাঁখা বা শঙ্খ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী। যদিও এখন সেইসব অতীত। বর্তমানে কাঁচামালের যোগানের অভাবে গ্রামের এই প্রাচীন শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে। একদিকে দক্ষ কারিগরের সংখ্যা যেমন কমছে, অন্যদিকে তেমনই এই কাজের প্রতি আকর্ষণও হারাচ্ছে নতুন প্রজন্ম। যার ফলস্বরূপ এককথায় বলা যায়, বাঁটুল গ্রামের এই শিল্প এখন ধুঁকছে।

Shankha

কাজে ব্যস্ত শিল্পী


শাখা তৈরি করার আগে সমুদ্র থেকে শঙ্খ তুলে আনার পর প্রথমে সেটিকে পরিষ্কার ও পালিশ করা হয়। এরপর সেই সাদা শঙ্খকে কেটে তার থেকে বিভিন্ন সাইজের শাঁখা বের করা হয়। এরপর সেই শাঁখার উপরে যন্ত্রের সাহায্যে বিভিন্ন ধরণের নকশা বা ডিজাইনের তৈরি করা হয়। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা জানাচ্ছেন, নয়ের দশকের সময় থেকে শঙ্খের আমদানি কমতে থাকায় এই শিল্প ক্রমশ ধুঁকতে শুরু করে। সেই কারণে আগে বাঁটুল গ্রামের কয়েকশো পরিবার এই শিল্পের উপর নির্ভরশীল থাকলেও বর্তমানে গ্রামের হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি পরিবার এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত।

Shankha

তৈরি হচ্ছে শাঁখা

বাঁটুল গ্রামের শাঁখা শিল্পীদের বক্তব্য, শঙ্খের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে লাভের পরিমাণ কমছে। ফলে শাঁখা শিল্পীরা ধীরে ধীরে এই কাজ থেকে সরে যাচ্ছেন। আগে যে সমস্ত শাঁখা শিল্পীরা ছিলেন, তাঁদের পর নতুন করে এই পেশায় মানুষ আসতে না চাওয়ায়, শাঁখা শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে। শাঁখা শিল্পীদের মতে, অতীতে এই শিল্পের রমরমা অবস্থা থাকলেও বর্তমানে এই শিল্পের অবস্থা খুবই খারাপ। নতুন করে আর কেউ শাঁখা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছেন না। কাঁচামালের যেভাবে দাম বেড়েছে, তাতে শাঁখা তৈরি করে আর আগের মতো লাভ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এই শিল্পের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন শাঁখা শিল্পীরা। আর শুধু তাই নয়, কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে অনেক ছোটখাট ব্যবসায়ী ব্যবসা বন্ধ করে দিতেও বাধ্য হচ্ছেন। ফলে আগামী দিনে এই গ্রামের আর কত মানুষ শাঁখা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *