এর মধ্যে সবথেকে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় এনজেপি-হাওড়া ডাউন শতাব্দী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের। ফালাকাটার বাসিন্দা সুমন দে বর্মন জানান, মঙ্গলবার হাওড়া থেকে তাঁর পরিবারের চার জনের মুম্বই মেলের টিকিট কাটা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের মুম্বই-গোয়া ঘুরতে যাওয়ার কথা। সোমবার সন্ধ্যাতেই নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছে স্টেশনে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করি যে মঙ্গলবার শতাব্দী এক্সপ্রেস চলবে কি না। কিন্তু কোনও সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে বিমানের টিকিট কাটার চেষ্টা করি। কিন্তু কম দামি টিকিট পাইনি। এক সঙ্গে চারটি টিকিট কাটতে গেলে ৫০-৭০ হাজার টাকা পড়ে যেত। এদিকে হাওড়া পৌঁছতে না পারলে আমাদের পুরো ট্রিপ ক্যানসেল করতে হবে। তাতে অনেক ক্ষতি হবে।’
শেষ পর্যন্ত সুমন ৩২ হাজার টাকায় একটি গাড়ি ভাড়া করেন। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁরা কলকাতা পৌঁছন। বৃদ্ধা মাকে নিয়ে শতাব্দী এক্সপ্রেসে কলকাতা ফেরার কথা ছিল শিপ্রা সাহার। ভোরবেলা রেলের মেসেজে জানতে পারেন ট্রেন বাতিল। বাসে কলকাতা ফেরেন। শেষ পর্যন্ত মাথা পিছু ৩ হাজার টাকা খরচ করে বুধবারের বাসের টিকিট পান। একই রকম দুর্ভোগে পড়েন হাওড়া-এনজেপি আপ শতাব্দী এক্সপ্রেসের যাত্রীরাও।
কেউ কেউ রাতের দিকের ট্রেনের টিকিটের চেষ্টা করেও পাননি। শেষ পর্যন্ত বাস বা বিমানে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। কলকাতা থেকেও বিমানের টিকিটের মাথাপিছু দাম ছিল ১২-২৫ হাজার টাকা। অগত্যা অনেকেই গাড়ি ভাড়া করে রওনা হন উত্তরবঙ্গের দিকে। যাঁরা উত্তরবঙ্গ থেকে যাত্রী নিয়ে এসেছেন, সেই গাড়ির চালকদের কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন, কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ ফেরার সিট খালি রয়েছে। তা দেখেও অনেকে সেই গাড়িতে শিলিগুড়ি পৌঁছন।