সেখানে পৌঁছে যান দুর্গাপুর থানার পুলিশ কর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ‘অপহরণকারীরা’ আসলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দুই কনস্টেবল ও এক জন সাব-ইনস্পেক্টর। ‘অপহৃত’ মাখনলাল মিনার নামে আগ্রা থানায় প্রতারণার মামলা রয়েছে। তাই তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল আগ্রায়। সব জেনে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ওই দলটির সদস্যদের সঙ্গে মাখনলালকে নিয়ে আনা হয় দুর্গাপুর থানায়।
দুর্গাপুরের এসিপি সুবীর রায় বলেন, ‘আগ্রা থানায় মাখনলাল মিনার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা আছে। সেই ঘটনায় তাঁকে গ্রেপ্তার করতে এসেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি দল। কিন্তু গ্রেপ্তারের পদ্ধতিতে ভুল ছিল। স্থানীয় থানাকে না জানিয়ে একপ্রকার জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশের পোশাক ছিল না তাঁদের। কনস্টেবল দু’জনের পরনে ছিল হাফ প্যান্ট। স্বাভাবিক ভাবে তাঁদের দেখে পুলিশ বলে মনে হয়নি। প্রাথমিক ভাবে অপহরণকারী মনে হয়েছিল।’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাখনলাল আদতে রাজস্থানের করৌলি জেলার বাসিন্দা। পাঁচ বছরের উপর তিনি সিটি সেন্টারের ওই ডাকঘরে কর্মরত। কেন স্থানীয় থানাকে অন্ধকারে রাখা হয়েছিল? কেনই বা ছিল না পুলিশের পোশাক? ওই দলে থাকা এক সাব-ইনস্পেক্টর জানান, এর আগে পুলিশের পোশাক পরে মাখনলালকে আগ্রায় গ্রেপ্তারের চেষ্টা হয়েছিল।
কিন্তু, পুলিশ দেখে চম্পট দিয়েছিলেন মাখনলাল। এবার আইনি পদ্ধতি মেনে মাখনলালকে আগ্রা নিয়ে যাবে ওই রাজ্যের পুলিশ। মাখনলালের দাবি, তিনি নির্দোষ। বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কী মামলা রয়েছে, জানি না। আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী। মনে হচ্ছে, আমাকে কেউ ফাঁসিয়েছে।’
